আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : জেলায় নতুন করে একজন চিকিৎসক, একজন নার্সসহ পাঁচজনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে। এনিয়ে এখন পর্যন্ত বরিশালে সাতজন করোনা রোগী শনাক্ত হলো।

মঙ্গলবার সকালে নতুন পাঁচজন রোগী শনাক্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মনোয়ার হোসেন জানান, এ পর্যন্ত বরিশাল জেলায় ৭০ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য আরটি-পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। এরমধ্যে ৩০ জনের পরীক্ষার রিপোর্ট আমাদের হাতে এসেছে। ফলাফল অনুযায়ী গত ১২ এপ্রিল মেহেন্দিগঞ্জ ও বাকেরগঞ্জ উপজেলায় দুই জন এবং ১৩ এপ্রিল গৌরনদীতে একজন, আগৈলঝাড়ায় একজন ও বাবুগঞ্জ উপজেলায় তিন জনের করোনা রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে। অর্থাৎ এরা সবাই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত।

তিনি বলেন, সোমবার শনাক্ত হওয়া পাঁচজনের মধ্যে গৌরনদীতে ৬০ বছরের এক নারী, আগৈলঝাড়ায় এক নারী চিকিৎসক ও বাবুগঞ্জে তিনজনের মধ্যে একজন নার্স, হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেনির কর্মচারী (অফিস সহকারি) একজন ও আরেকজন নারী রয়েছেন।

আগৈলঝাড়া উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ বখতিয়ার আল মামুন জানান, উপসর্গ দেখা দেওয়ায় উপজেলার বাকাল ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের নারী চিকিৎসকের (৩৫) নমুনা সংগ্রহ করে বরিশাল করোনা ল্যাবে পাঠানো হয়। সেখান থেকে পাওয়া রিপোর্টে ওই চিকিৎসকের করোনা পজেটিভ এসেছে। তবে তার নমুনা পুনরায় সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

বাবুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ সুভাষ সরকার জানান, সোমবার করোনা শনাক্ত হওয়া তিনজনের মধ্যে উপজেলার দেহেরগতি ইউনিয়নে অবস্থিত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন নার্স ও একজন রোগী রয়েছেন, যারা উভয়ই নারী। অপরজন চতুর্থ শ্রেনির কর্মচারী হলেন পুরুষ। রিপোর্ট পাওয়ার পরপরই তাদের হাসপাতালের আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। সংক্রমণ ঝুঁকি ও সতর্কতার কারণে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নিজেও হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আগৈলঝাড়ার বাকাল ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ওই নারী চিকিৎসক গৌরনদী পৌর সদরের দক্ষিণ বিজয়পুর এলাকার সবুজ বাংলা নামের ইলেকট্রিক ব্যবসায়ী বেলাল হোসেনের বাসার ভাড়াটিয়া বিল্ডিংয়ে পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন।

মঙ্গলবার ভোরে পরিবারের সবাইকে নিয়ে তিনি বাসা ছেড়ে ্অগেলঝাড়া হাসপাতালে আইস্যুলেশন সেন্টারে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনার পর ওই পাঁচ রোগীর নিজ নিজ এলাকার প্রায় শতাধিক বাসা ও বাবুগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালকে লকডাউন করেছে উপজেলা প্রশাসন। তবে হাসপাতালের জরুরি বিভাগ খোলা রয়েছে।

(টিবি/এসপি/এপ্রিল ১৪, ২০২০)