স্টাফ রিপোর্টার : বিশ্ব যখন মহামারি ভরসার করোনার কবলে, জনমনে যখন আকণ্ঠ শঙ্কা, ঠিক তখনো হাজারো সংবাদকর্মী নিজের জীবনের তোয়াক্কা না করে অবিরাম সংগ্রহ করে চলেছেন করোনার সংবাদ।

দেশ জুড়ে সাংবাদিকদের বিপদে তাদের পাশে দাড়ানোর প্রত্যয় ব্যাক্ত করে কর্মরত পেশাদার বিভিন্ন সংবাদপত্র অনলাইন-প্রিন্ট ও বেসরকারি টেলিভিশন ও অনলাইন সংবাদমাধ্যমের মিডিয়ায় কর্মরত সকল সাংবাদিকদের জন্য সরকারের কাছে অর্থ ও পিপিই বরাদ্দের দাবী জাতীয় মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের।সংবাদকর্মী হিসেবে দেশের সকল গণমাধ্যমের কর্তাব্যক্তিদের প্রতি আমার করজোরে সবিনয় আকুতি থাকবে অন্তত এই সংকটে আমাদের পাশে দাঁড়ান।

এই আমরাই তো আপানার পাশে দাঁড়িয়েছি সব সময়। নিজেকে নিজের পরিবারকে তুচ্ছজ্ঞান করে দিন-রাত কাজ করেছি সংবাদ সংগ্রহে, এই আমরাই তো দেশের সব মানুষের অধিকার বাস্তবায়নে কাজ করেছি অহর্নিশ। জাতীয় এই দুর্যোগেও তো আমরা পিছপা হয়নি, আমৃত্যু সংবাদ সংগ্রহ করে তা পৌছে দেব জনগণের দ্বারপ্রান্তে- এই তো ব্রত আমাদের।

এই একটিবারের জন্য না হয় আমাদের সুরক্ষায় আগ্রহী হন আপনারা। আমি বিশ্বাস করি, তুচ্ছ নগণ্য ছিটকে পরা এই সংবাদকর্মীর আকুতি অগ্রজরা শুনবেন। নতুন করে সাজাবেন করোনার কভারেজ পরিকল্পনাগুলো।আমরা একজনও সংবাদকর্মীকে হারাতে চাই না এই করোনায়। করোনা ঝুঁকিতে সংবাদকর্মীরা আর তাদের সুরক্ষায় পাশে নেই কেউ! গণমানুষের অধিকার নিয়ে সোচ্চার থাকা মানুষগুলো নিজেদের অধিকারের কথা বলার কেউ নেই!

জাতীয় মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান শেখ সাইফুল ইসলাম কবির,মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান বাবলু কার্যকরী চেয়ারম্যান এ্যাড.আল আমিন শাওন, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মুনসুরআহমেদ, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রক্সি খান,যুগ্ম মহাসচিব মো. শাহজাহান খান,সাংগঠনিক সম্পাদক ডি এম সাইফুল্লাহ খান. এক যৌথ বিবৃতিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, তথ্যমন্ত্রী, তথ্য সচিব ও সংশ্লিষ্টদের কাছে এ দাবী জানান।

১৭ এপ্রিল প্রেরিত বিবৃতিতে তারা আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার বরাদ্দে সাংবাদিকদের জন্য কোন কথা ছিলো না, যা সত্যিই আমাদের জন্য হতাশার। অনতিবিলম্বে বরাদ্দ ও পিপিই প্রেরণের মধ্য দিয়ে অন্তত করোনার হাত থেকে, এই পরিস্থিতি থেকে রক্ষার দাবী জানাই।

পাশাপাশি গত ৩ বছরে যুক্ত হওয়া জাতীয় মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের সারাদেশে সাড়ে ১২ হাজার সদস্যর জন্যও বিশেষ অর্থ বরাদ্দ ও পিপিই প্রদানের দাবী জানিয়ে স্মারকলিপি প্রদানের সিদ্ধান্তের কথাও জানানো হয়।

(পিআর/এসপি/এপ্রিল ১৭, ২০২০)