পাবনা প্রতিনিধি : নিজের কাঁধে, ঝুলা নিয়ে হাতে, কখনো হেটে, কখনো ভ্যানে চড়ে, কখনো বা ভ্যান ঠেলে দুস্থ, অসহায়, দরিদ্র, হতদরিদ্র, কর্মহীন গৃহবন্দি মানুষগুলোর পাশে সরকারি ও নিজ উদ্যোগে বাড়ি বাড়ি গিয়ে হাতে হাতে ত্রাণ সামগ্রী তুলে দিচ্ছেন চেয়ারম্যান মিরোজ হোসেন।

জীবনঘাতক করোনা ভাইরাসে পুরো বিশ্ব যখন আক্রান্ত। ছটফট করে চলে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত লাখো প্রাণ। আক্রান্ত হচ্ছেন লাখ লাখ মানুষ। এই মরণঘাতি ভাইরাসের ছোঁয়া এসে পড়েছে বাংলাদেশেও।

নানা শ্রেণিপেশার মানুষ যখন হোমকোয়ারেন্টাইনে। বাড়ি থেক বের না হয়ে, সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে অবস্থান করছেন। সে সময়ে নিজের জীবনের তোয়াক্কা না করেই পাবনার বেড়া উপজেলার আমিনপুর থানার মাসুমদিয়া ইউনিয়নের ২৭ টি গ্রাম চষে বেড়াচ্ছেন চেয়ারম্যান মিরোজ হোসেন। তিনি বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

গত কয়েকদিনে মাসুমদিয়া ইউনিয়নের খাগড়বাড়ি, রূপগঞ্জ, পুরানমাসুমদিয়া, রাজধরদিয়ার চর, বামুন্দির চর, শ্যামপুর চর, তিরমনির মাজার, ফকিরকান্দি, কাজীপাড়াসহ ২৭ টি গ্রামে সরকারি ১০ কেজির চাল দুই কিস্তিতে ৬১০ জন ভূক্তভোগীর মধ্যে নিজে উপস্থিত থেকে এবং বাড়ি বাড়ি গিয়ে পৌছে দিয়েছেন চেয়ারম্যান মিরোজ হোসেন।

চেয়ারম্যান মিরোজ হোসেন বলেন, সরকারি ত্রাণ সহায়তা ছাড়াও নিজ উদ্যোগে চাল, আলু, ডাল ও তেল মিলে ১৪৭১ টি পরিবারে খাদ্য সামগ্রী পৌছে দিয়েছি। সরকারের ভিডিজি প্রকল্পে ৩১ মার্চ ও ১২ এপ্রিল ২৮৬ পরিবারের কার্ড ধারীদের মধ্যে ৩০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও ১০ টাকা কেজি মূল্যে ১২২০ জন ৩০ কেজি করে চাল পেয়েছেন।

মিরাজ বলেন, জনপ্রতিনিধি, মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, আইনজীবী, যুবসমাজ সহ নানা শ্রেণির মানুষের সার্বিক সহযোগিতায় আমি সরকারি ত্রাণ সহায়তা ভূক্তভোগী মানুষের মধ্যে পৌছাতে সক্ষম হয়েছি। তিনি দাবী করেন, প্রতিটি এলাকা পরিদর্শণ করে ইতোমধ্যে আরও ৬৫৪ জনের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে ত্রাণ সহায়তা চেয়েছি। যা প্রক্রিয়াধীন। হয়তো আগামি রোববারে এই ত্রাণগুলো সংশ্লিষ্ট পরিবারে পৌছে দিতে পারবো।

চেয়ারম্যান মিরোজ হোসেন বলেন, আমি বিশ্বাস করি, সরকারি যে বরাদ্দ ইউনিয়ন পরিষদে আসে। সুষ্ঠু ও সঠিক ভাবে বিতরণ করা হলে খাদ্য সংকট হবে না- কেউ না খেয়ে থাকবেন না। কিন্তু অনেক স্থানেই ত্রাণের বরাদ্দ সুষ্ঠুভাবে বন্টন হচ্ছে না। মাসুমদিয়া ইউনিয়নের একটি পরিবারও না খেয়ে থাকবে না এটা আমার বিশ্বাস ও জনপ্রতিনিধি হিসেবে শতভাগ দাবী রাখছি। মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোতে গোপনে খোঁজ রাখছি এবং সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছি।

তিনি বলেন, ইউনিয়নের প্রত্যেক গ্রামের মানুষকে চিকিৎসা ও ঔষুধ সেবার জন্য বলা আছে।

(পিএস/এসপি/এপ্রিল ১৮, ২০২০)