স্টাফ রিপোর্টার : সরকারের ত্রাণ আত্মসাতে যাকেই সম্পৃক্ত পাওয়া যাবে, তাকেই আইনের আওতায় নিয়ে আসতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছেন সংস্থার চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। তিনি বলেছেন, ত্রাণ আত্মসাতে সম্পৃক্ত কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না।

বুধবার (২২ এপ্রিল) দুদকের এক সভায় কর্মকর্তাদের কর্মস্পৃহাকে স্বাগত জানিয়ে ইকবাল মাহমুদ এ কথা বলেন। দুদকের গোয়েন্দা শাখা থেকে সংস্থার অভিযানের সর্বশেষ অগ্রগতি অবহিত করা হয় অনুষ্ঠানে। দুদক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, দুর্নীতি দমন কমিশন সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির ত্রাণসহ অন্যান্য সরকারি সুবিধা আত্মসাতের অভিযোগে এ পর্যন্ত (দেশের বিভিন্ন জেলায়) সাতটি মামলা দায়ের করেছে।

১০ এপ্রিল দুদক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়েছিল, ত্রাণসহ সরকারের সামাজিক নিরাপত্তামূলক কর্মসূচির কার্যক্রম নজরদারি করছে দুর্নীতিবিরোধী রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানটি।

এরপরই ১২ এপ্রিল বগুড়ায় সরকারি চাল আত্মসাতের অভিযোগে সমন্বিত জেলা কার্যালয় বগুড়ায় প্রথম মামলা দায়ের করে দুদক। এরপর পর্যায়ক্রমে দেশের আরও ছয়টি জেলায় মামলা দায়ের করা হয়। গতকাল সোমবার (২১ এপ্রিল) সর্বশেষ মামলাটি দায়ের করা হয় নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার একজন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।

এসব কার্যক্রমের সর্বশেষ অগ্রগতি অবহিত হওয়ার পর চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ কর্মকর্তাদের কর্মস্পৃহাকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে কোনো প্রকার অনিয়ম-দুর্নীতি সহ্য করা হবে না। এ যাবত যেসব মামলা করা হয়েছে সেগুলোর দ্রুত তদন্ত শেষ করতে হবে। দুদকের গোয়েন্দা শাখা, সকল সমন্বিত জেলা কার্যালয় এবং সকল বিভাগীয় কার্যালয় ত্রাণ কার্যক্রমের প্রতি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এ বিষয়ে নিবিড় দৃষ্টি রাখবে। যাকেই ত্রাণ আত্মসাতে সম্পৃক্ত পাওয়া যাবে, তাকে আইনের আমলে নিয়ে আসতে হবে। কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না। ত্রাণ আত্মসাতকারীদের প্রচলিত আইনে এমন শাস্তির ব্যবস্থা ব্যবস্থা করা হবে, যেন ভবিষ্যতে কেউ ত্রাণ আত্মসাতের সাহস না পায়।

(ওএস/এসপি/এপ্রিল ২২, ২০২০)