রণেশ মৈত্র


আজ এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে এই নিবন্ধটি লিখতে বসে এবারের মার্চের আনন্দ বর্জিত ইতিহাস মন্ডিত দিনগুলি কীভাবে যে হারিয়ে গেল-তা স্মরণে আসছিল। বাঙালির প্রাণের তিনটি দিন-৭ মার্চ, ১৭ মার্চ ও ২৬ মার্চ---কীভাবে যে হারিয়ে গেল তা ভাবলে বেদনার্ত না হয়ে পারা যায় না। যে মানুষ এই দিন তিনটিকে ইতিহাসের দিনে প্রায় অর্ধশত বছর আগে পরিণত করেছিলেন, সেই মানুষ এবার কোথাও সমবেত হতে পারেন নি। মানুষকে এবার গৃহবন্দী হয়ে থাকতে হয়েছে যা অতীতে কোনদিন হয় নি। যার যার বাড়ীতে স্বেচ্ছা বন্দী হয়ে থেকে স্মৃতিতে দিনগুলিকে আনা আর টেলিভিশনে নানা চ্যানেল না করেই কাটাতে হয়েছে।

বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকীর অনুষ্ঠানমালা ব্যাপক পূর্ব প্রস্তুতি সত্বেও শেষ মুহুর্তে এসে স্থগিত করা, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানাদি বাতিল এবং এপ্রিলে এসে জানা গেল পহেলা বৈশাখ বাঙালির নববর্ষের দিনমান সকল অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ। কল্পনার বাইরে ছিল এমন এমন সিন্ধান্ত। কিন্তু তা করতে হলো, মানুষ বাঁচানোর জন্য নিশ্চিত বিপদের হাত থেকে কোটি কোটি মানুষকে রক্ষা করার জন্য।

এমন সিদ্ধান্ত শুধুমাত্র বাংলাদেশে নেওয়া হচ্ছে তা নয়। সমগ্র বিশ্বব্যাপীই মানুষ কোথাও সমবেত হতে পারছেন গানের, নাচের, আবৃতির কোন অনুষ্ঠান আয়োজন করতে পারছেন না। এমন কি, একে অপরের খবর নিতে কেউ কারও কাছে ছুটে যেতে পারছেন না। আনন্দে কেউ কারও সাথে হাত মেলাতে, পরস্পর পরস্পরের সাথে আলিঙ্গন করতেও পারছেন না। যেন এক আতংকের অন্ধকারে নিক্ষিপ্ত হয়েছে পৃথিবী।

মানুষ গৃহবন্ধী কিন্তু তাঁর ভাবনার অপমৃত্যু ঘটে নি। ঘটবেও না কোনদিন। কারণ ভাবনার মৃত্যু নেই আর ভাবনারাই তো এ বিশ্বকে গড়েছে, জ্ঞান-বিজ্ঞানের উত্থান ও প্রসার ঘটিয়েছে। সেই ভাবনা থেকেই মানুষ উদ্বিগ্নচিত্তে আজ প্রশ্ন তুলছেনঃ

* মেডিসিনের শহর সুইজারল্যান্ড অসহায়;
* প্রযুক্তির শহর জার্মেনী নিরুপায়;
* মানবতার শহর ইতালি কাঁদছে;
* ক্ষমতার দেশ আমেরিকা দিশেহারা

বস্তুত: চীনে ডিসেম্বরে শুরু হয়ে জানুয়ারী, ফেব্রুয়ারি ও মার্চে করোনা ভাইরাস দৃশ্যত: বিশ্বভ্রমণে বেরিয়ে দেশে দেশে যে মৃত্যুও মিছিল সংগঠিত করেছে তার ভরাবহতা এবং মানুষের অসহায়তা বুঝাতেই সুইজারল্যা-, জার্মেনী, ইতালি ও আমেরিকার প্রসঙ্গ তুলেছেন। গোটা পৃথিবীর সংবাদ মাধ্যমগুলি ঘন্টায় ঘন্টায় মৃত্যু ও আক্রান্তের যে তালিকা প্রকাশ করে চলেছে তা থেকেই মানুষের মনে ঐ চারটি দেশ সম্পর্কে নানা প্রশ্ন মানুষের ভাবনার স্তান পেয়েছে।

চীনে যখন ঘটলো-লাকের মত মানুষ আক্রান্ত হলো কিন্তু কয়েকদিনের মধ্যে হাজার তিনেক মানুষের মৃত্যুর পর তারা যে দ্রুততায় রোগটিকে বিদায় দিলো-তেমন বা তার চাইতে দ্রুততার সাথে ইতালী, ফ্রান্স, জার্মানী, ইংল্যান্ড ও আমেরিকা কেন পারলো না-তা ভেবে সত্যিই কুল-কিনারা পাচ্ছেন না সারা পৃথিবীর চিন্তাশীল ঘরে বসে থাকা কোটি কোটি মানুষ। ঐ উন্নত দেশগুলির স্বাস্থ্য ব্যবস্থা কি এতই দুর্বল? তাদের স্বাস্থ্য বিজ্ঞানীরা ও এতটাই পিছনে পড়ে আছেন যে করোনার হাত থেকে মানুষকে বাঁচানোর কোন ওষুধ আজও তাঁরা আবিস্কার করতে পারছেন না? বিস্মিত হতে হয়, কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যুও পর এবং লক্ষাধিক মানুষের দেশে সংক্রমনের পর সংবাদ সম্মেলন করে যখন ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, আমেরিকায় আরও এক থেকে দুই লক্ষ লোক এপ্রিলে মারা যেতে পারেন।

অপরদিকে খোদ বৃটেনের খবর। ইংল্যা-ের প্রধান মন্ত্রী ও স্বাস্থ্য মন্ত্রী করোনায় আক্রান্ত। আফ্রিকার (সম্ভবত) একটি দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী দেশবাসীকে করোনা আক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করতে না পেরে আত্মহত্যা করেছেন। বহু গৌরবের অধিকারী, ফুটবলে পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ দেশ এবং আর অসংখ্য গৌরবের অধিকারী উন্নত দেশ ইতালি যখন মৃত্যুপুরিতে পরিণত হয়, ফ্রান্স-জার্মানীর মত জ্ঞান-বিজ্ঞান-সভ্যতায় শীর্ষ স্থানে অধিষ্ঠিত ইউরোপীয় দেশে যখন প্রতিদিন শত শত মানুষ আক্রান্ত হন, মৃত্যু বরণ করেন তখন মানুষ আতংকিত না হওয়ার কোন কারণ খুঁজে পাওয়া দুরূহ।

আবার যখন দক্ষিণ আমেরিকার ছোট্ট সমাজতান্ত্রিক দেশ কিউবা যখন করোনা আক্রমণ থেকে প্রায় মুক্ত থাকে-দশকের পর দশক ধরে আমেরিকার আরোপকৃত অবরোধের মত চরম প্রতিকূলতাকে পরাজিত করে করোনার ওষুধ (স্বল্পমূল্যে) আবিস্কার করে, অসংখ্য ডাক্তার নার্স গড়ে তুলে বিপুল সংখ্যায় ইতালি ও অন্যান্য দেশে পাঠায় তখন একদিকে যেমন বিস্ময়-বিমূঢ় হয়ে পড়তে হয়-তেমনই আবার তাদের এই সাফল্যে বিপুল আশাবাদেরও সৃষ্টি হয়।

তবে বহু ক্ষেত্রে, বিশেষ করে স্বাস্থ্য বিজ্ঞান, স্বাস্থ্য-ব্যবস্থা, চিকিৎসার সুযোগহীনতা এবং উপযুক্ত শিক্ষা, বিশেষ করে বিজ্ঞা ভিত্তিক শিক্ষার নিদারুন অভাবের দেশ বাংলাদেশকে নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা মানুষের মনে কম নেই। ‘লক-ডাউন’। আনুষ্ঠানিকভাবে না ঘোষণা করা হলেও দেশব্যাপী সামরিক বাহিনীকে যখন নামানো হয় রাস্তাঘাটে চলাচলে শৃংখলা রক্ষা করতে অথবা সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে তখন আমাদের বিজ্ঞান মনস্কতাহীনতা উলংগভাবে ধরা পড়ে। স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়, অফিস-আদালত, বাজার-বিপণী, গণ পরিবহন পর্য্যন্ত বন্ধ থাকা অবস্থায়, বারংবার টেলিভিশন ও পত্র-পত্রিকায় সকলকে সতর্ক করে দেওয়া সত্বেও রাস্তাঘাটে জটলা আমাদের অসচেতনাকেই নগ্নভাবে প্রকাশ করছে মাত্র। ফলে, বিপদের আশংকা কমছে না-বাড়ছে বরং। সকলের অন্তর থেকে বুঝা দরকার যে নিময় বিধি না মেনে বাইরে ঘুরাফেরা করলে করোনা সংক্রমণের আশংকা প্রবল। আর তা যদি হয়-তাহলে তার গোটা সংসার, প্রতিবেশী সহ বহু লোকের বিপদ ঘটে যেতে পারে।

আসলে মনে হয়, অনেকে এই বিষয়টিকে হালকাভাবে নিচ্ছেন এই ভেবে যে বাংলাদেশে সরকারি প্রচারণা অনুযায়ীই করোনা সংক্রমণ নামমাত্র। তাই কঠোরভাবে ঐ নিয়মগুলি প্রয়োগ, তাদের মতে, যুক্তিহীন। সে কারণেই হয়তো নিয়ম মানার তেমন এটকা প্রয়োজন অনুভব করছেন না আমাদের তরুণেরা। প্রকৃত পরিস্থিতি ঠাকায় বসে বুঝা যাবে না। যেতে হবে গ্রাম-গ্রামান্তরে সেখানে সরকারি নিষেধাজ্ঞা, সামাজিক দূরত্ব রক্ষা এবম্বিধ কথাবর্তার প্রয়োগ চোখেই পড়ে না প্রায়। হাট বাজার দোকান-পাট মোটামুটি স্বাভাবিকভাবেই চলছে। উপজেলা পর্য্যায়ের সরকারি কর্মকর্তারাও পেরে উঠছেন না বহু ক্ষেত্রেই কারণ নিজ নিজ এলাকার নির্বাচিত নানা স্তরের জন প্রতিনিধির একটি বড় অংশই ব্যবসা বাণিজ্যে নিয়োজিত এবং তাঁরা তাঁদের ব্যবসা যথারীতি চালিয়ে যেতে সচেষ্ট। স্বীয় স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে দেশ ও জাতির স্বার্থ বা, এমন কি, নিজ এলাকার ভোটারদের স্বার্থ রক্ষায় এগিয়ে আসতে তাঁদের অনেকেই রাজী নন।

একথা ঠিক, বহু লোকই নিজেদেরকে গৃহবন্দী করে রেকেছেন। কিন্তু তা কতদিন সম্ভব হবে? হাট-বাজার তো দৈনবন্দিন ব্যাপার ছিল। এখনকার পরিস্থিতিতে তা না হয় দৈনন্দিন না হয়ে সাপ্তাহিক ব্যাপার তো হবেই। অর্থাৎ সপ্তাহতে অন্তত: একবার তো বাজারে যেতেই হবে এবং সেখানে অজস্র মানুসের সাথে গা ঘেঁষাঘেঁষি এড়িয়ে চলা অসম্ভব। তাই বাজারের সংখ্যা বাড়ানো হলে এই সমস্যার অনেকটা সমাধান হতে পারে। অন্তত: সাময়িকভাবে।
সর্বাধিক সংকটে পড়েছেন গরীব মানুষের-বেকার মানুষেরা। রিকসা চালক, ভ্যান চালক প্রভৃতির সংখ্যা বিপুল। তাঁদের তো না বেরিয়ে উপায় নেই-পেটের দায়েই বেরুতে হয়। আবার বের হয়েও খুব একটা লাভ হচ্ছে না তাঁদের বাড়ীতে খাবার পৌঁছাতে হবে।

সরকার ও নানা সামাজিক সংগঠন যেভাবে গরীব মানুষদের মধ্যে খাবার পৌঁছাচ্ছেন-তাও ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ তাঁরা ক্যামেরাম্যান সংগে নেন এবং বহুসংখ্যক মানুষকে একত্রে জমা করে বিলি করতে পচন্দ করেন। ঝুঁকির দিকটা এতে অবহেলিত হচ্ছে-ঝুঁকিও বাড়ছে। ফলে বিপদাশংকা গরীব মানুষদেরকে বিনামূল্যে খাবার যেমন দিতে হবে, তেমনি তা আবার ঝুঁকিমুক্ত ভাবেও দিতে হবে। তাই পুলিশ বা প্রয়োজনে সেনা বাহিনীর সহায়তা নিয়ে যতহটা সম্ভব, বাড়ী বাড়ী পৌঁছে দেওয়াই সর্বাধিক নিরাপদ পদ্ধতি।

নিবন্ধের শেষ প্রান্তে এসে দেখছি আজ ৩ এপ্রিল সকাল পর্য্যন্ত সমগ্র বিশ্বে প্রায় ৫৩,০০০ হাজার মানুষ করোনা ভাইরাসের শিকার হয়ে মারা গেছেন। ১০ লক্ষাধিক মানুষ আক্রান্ত। লক্ষ্যনীয় যে উন্নততর দেশগুলির অবস্থাই সর্বাধিক বেহাল। অপরাপক্ষে এখন পর্য্যন্ত দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলি তুলনামূলকভাবে অনেক ভাল অবস্থাপয়। বাংলাদেশও তার ব্যতিক্রম নয়।

এখন বাংলাদেশ সহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলি যদি অধিকতর সচেতন হয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থাদি গ্রহণ করতে পারে তবে হয়তো এই দেশগুলি অনেক কম ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারবে।

কিন্তু বিশ্বস্থাস্থ্য সংস্থা সরাসরি অভিযোগ এনেছে যে “বাংলাদেশের মানুষ অসচেতন-তাই সেখানে ২০ লক্ষ মানুষের প্রাণহানি ঘটতে পারে। মানুষ যে অসচেতন আমরা নিজেরাই স্বীকার করি এবং সে কারণেই মানুষকে অথবা রাস্তায় না বেরিয়ে ঘরে থাকতে বাধ্য করার চেষ্টা করছি-প্রয়োজনে নিয়মভঙ্গকারীদেরকে জেল-জরিমানার মত শাস্তিও দিচ্ছি। তাই বিশ্বব্যাংক, বিশ্ব স্বস্থ সংস্থা ও বিশেষজ্ঞদের পরামর্শগুলি বাড়াবাড়িভাবে মানার ও মানানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
এই অঞ্চলে ধর্মীয় অন্ধত্ব একটি মারাত্মক সমস্যা সংকট সৃষ্টি করেছে।

বাংলাদেশের ক্ষেত্রে বলা যায়, নববর্ষের সাংস্কৃতিক সমাবেশ, বঙ্গবন্ধুর শতবার্ষিকীর যাবতীয় সমাবেশ, সকল রাজনৈতিক সমাবেশ বন্ধ করাতে কোন সমস্যা না হলেও মসজিদগুলিতে জমা আর নামায বন্ধ করতে সরকার অহেতুক দুর্বল চিত্ততার পরিচয় দিচ্ছে। যেখানে সৌদি আরব সকল ধর্মীয় সমাবেশ বন্ধ করেছে, করোনা প্রতিরোধ করতে কারফিউ জারী করেছে, ইরান লক আউট করেছে সেখানে বাংলাদেশে কেন এটা করা হবে না? যতদিন সংকটটি থাকবে ততদিন জুম‘আ, অন্যান্য জালছা, হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্টান ধর্মীয় সমাবেশ কড়াকড়িভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হোক। ততদিন সকল নামায, সকল পূজা, সকল প্রার্থনা ঘরে বসে করলে সওয়াব বা পূণ্য আদৌ কম হবে না।

গোটা বিশ্বের এই দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিেিত সৌদি আরব এ বছরের জন্য মুসলিমদের সর্ববৃহৎ আন্তর্জাতিক ধর্মীয় অনুষ্ঠান, পবিত্র হজ্ব পর্য্যন্ত নিষিদ্ধ করতে চলেছে। এ থেকেও আমাদের শিক্ষা নেওয়া কর্তব্য।

সরকার অবলিম্বে সকল জেলা করোনা টেষ্ট ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করুন-পৌরসভা ও জেলা এবং ইউনিয়ন পরিষদগুলি পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনায় সর্বত্র জীবাণুনাশক ওষুধ কেন্দ্র করার করার ব্যবস্থা করুন, আর আসুন, পারিবারিক পর্য্যায় থেকে সকল পর্য্যায়ে আমরা স্ব-প্রনোদিত হয়ে গৃহবন্দী থেকে নিজেরা বাঁচি, প্রতিবেশীদেরকে ও দেশবাসীকে বাঁচাই। মানুষই শ্রেষ্ঠ জীব-সেই শ্রেষ্ঠত্বেও সার্বিক পরীক্ষা দেওয়ার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে হবে।
মাস্ক, হ্যা-ওয়াশ, হ্যা- স্যানিটাইজার সবার বাড়ী বাড়ী সুলভমূল্যে পৌাঁনোও জরুরী।

এবারে কবি শঙ্খ ঘোষের একটি কবিতা দিয়ে নিবন্ধটির সমাপ্তি টানি। কবিতাটির নাম সঙ্খনীল

আমাদের দেখা হোক মহামারী শেষে
আমাদের দেখা হোক জিতে ফিরে এসে
আমাদের দেখা হোক জীবাণু-ঘুমালে
আমাদের দেখা হোক সবুজ সকালে
আমাদের দেখা হোক কান্নার ওপারে
আমাদের দেখা হোক সুখের শহরে

আমাদের দেখা হোক হাতের তালুতে
আমাদের দেখা হোক ভোরের আলোতে
আমাদের দেখা হোক বিজ্ঞান জিতলে
আমাদের দেখা হোক মৃত্যু হেরে গেলে
আমাদের দেখা হোক আগের মত করে
আমাদের দেখা হোক সুস্থ শহরে।

আমরা রয়েছি সেই সাক্ষাত, সেই হ্যা-সেক, সেই আলিঙ্গন, সেই নৈকট্য, সেই সমাবেশ, সেই হাট বাজার, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে মুখরিত পদচারনার দিনগুলি সবার জন্য ফিরে আসুক।


লেখক : সভাপতিমন্ডলীর সদস্য, ঐক্য ন্যাপ, সাংবাদিকতায় একুশে পদক প্রাপ্ত।