পাবনা প্রতিনিধি : সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়াকে কেন্দ্র করে পাবনায় যুবলীগ নেতা শাহ আলমকে হত্যার হুমকির দেয়ার অভিযোগ আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তানভির ইসলাম বিরুদ্ধে।  ফোনে হুমকির কথপোকথনের অডিও সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে ভাইরাল। শনিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে মুঠো ফোনে এ ঘটনা ঘটে। জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে যুবলীগ নেতা থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছেন।

শাহ আলম আটঘরিয়া পৌর যুবলীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক ও ২নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি এবং কমিউনিটি পুলিশের সাধারন সম্পাদক। সে আটঘরিয়া পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের রোস্তমপুর গ্রামের আব্দুল বারেক প্রামানিকের ছেলে।

জিডি সূত্রে জানা যায়, পাবনা-৪ আসনের (ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) এমপি মৃত্যুবরণ করায় সরকারি ভাবে এ আসনকে শুন্য ঘোষণা করা হয়। সে কারণে আটঘরিয়া থেকে একজন জনপ্রতিনিধির জন্য (১৭ এপ্রিল) আলহাজ্ব মোঃ ইশারত আলী সাবেক এমপিকে দেখতে চাই মর্মে শাহ আলম ফেসবুক আইডি থেকে পোস্ট করলে উপজেলা চেয়ারম্যান ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। এছাড়া বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নেতা কর্মীদের স্ট্যাটাসে কমেন্টে করায় আরও বেশি ক্ষিপ্ত হয়ে (১৮ এপ্রিল) সকালে (০১৭১১৮৪৩৬৩৫) মোবাইল নম্বর থেকে আটঘরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ তানভীর ইসলাম যুবলীগ নেতা শাহ আলমকে প্রাণ নাশের হুমকি প্রদর্শন, অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি প্রদর্শন করে এমন কি নেশা জাতীয় দ্রব্যাদি দিয়ে থানায় সোপর্দ করার হুমকি প্রদর্শন করে। ভয়ভীতি প্রদর্শনের প্রমান স্বরূপ উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ তানভীর ইসলামের সঙ্গে আমার (শাহ আলম)’র মোবাইলে কথপোকথন কল রেকর্ডিং করে সাধারণ ডাইরীর সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়।

এ ব্যাপারে আটঘরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ তানভীর ইসলাম বলেন, ফেসবুক স্ট্যাটাস নিয়ে তাকে আমি কোন হুমকি দেয় নাই। এটা মিথ্যা বানোয়াট। সে এলাকায় মাদক ব্যবসা করে তাই জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমি শাসন করেছি। আর ঐ অডিওটি আমার কিন্তু আগে পিছে কেটে এডিট করে প্রচার করা হচ্ছে। আমার মোবাইলে এভাবে কথা বলা ঠিক হয় নাই।

এ ব্যাপারে আটঘরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আশিফ মোহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম বলেন, তিন দিন পরে জিডি এন্ট্রি হয়েছে। জিডি নং-৬৫৫। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

(পিএস/এসপি/এপ্রিল ২৮, ২০২০)