স্টাফ রিপোর্টার : পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত মেরিকো বাংলাদেশ লিমেটেডের পরিচালনা পর্ষদ ২০২০ সালের ৩১ মার্চ সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য ২০০ শতাংশ নগদ চূড়ান্ত লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।

এর আগে প্রতিষ্ঠানটি ৭৫০ শতাংশ অন্তর্বতী লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল। অর্থাৎ হিসাব বছরটিতে এই বহুজাতিক কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের ৯৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিচ্ছে। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির পর এক হিসাব বছরে এটাই কোম্পানিটির সর্বোচ্চ লভ্যাংশ ঘোষণা।

করোনা ভাইরাস প্রকোপের মধ্যে কোম্পানিটির পরিচালকরা ডিজিটাল প্লাটফর্মে পর্ষদ সভা করে ২০১৯-২০ (২০১৯ সালের এপ্রিল থেকে ২০২০ সালের মার্চ পর্যন্ত) হিসাব বছরের আর্থিক হিসাবের ভিত্তিতে এই চূড়ান্ত লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদনের জন্য বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আগামী ২২ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য রেকর্ড ডেট শেয়ার বাজারে আবার লেনদেন শুরু হওয়ার ১৫তম দিনে নির্ধারণ করা হয়েছে।

সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ৮৪ টাকা ১ পয়সা। আর চলতি বছরের মার্চ শেষে শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪৪ টাকা ৫ পয়সা।

২০০৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া এই বহুজাতিক কোম্পানিটি এর আগে ২০১৪ সালে ৯০০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল। এটাই এতদিন প্রতিষ্ঠানটির সর্বোচ্চ লভ্যাংশ ঘোষণা ছিল।

নিয়মিত শেয়ারহোল্ডারদের বড় লভ্যাংশ দেয়া মেরিকো বাংলাদেশ এর আগে ২০১৮-১৯ হিসাব বছরে ৬৫০ শতাংশ, ২০১৭-১৮ হিসাব বছরে ৬০০ শতাংশ, ২০১৬-১৭ হিসাব বছরে ৫০০ শতাংশ, ২০১৫-১৬ হিসাব বছরে ৪৫০ শতাংশ এবং ২০১৪-১৫ হিসাব বছরে ৪২৫ শতাংশ লভ্যাংশ দেয়।

তার আগে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির পর প্রথম হিসাব বছরে ২৫ শতাংশ, ২০১০-১১ হিসাব বছরে ৪৫ শতাংশ, ২০১১-১২ হিসাব বছরে ১০০ শতাংশ এবং ২০১২-১৩ হিসাব বছরে ১৫০ শতাংশ লভ্যাংশ দেয় মেরিকো বাংলাদেশ।

৩১ কোটি ৫০ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানি মেরিকোর মোট শেয়ার সংখ্যা তিন কোটি ১৫ লাখ। এর মধ্যে ৯০ শতাংশই রয়েছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে। বকি শেয়ারের মধ্যে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে আছে মাত্র ১ দশমিক ২১ শতাংশ। আর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ এবং বিদেশিদের কাছে ৫ দশমিক ৭৪ শতাংশ শেয়ার আছে।

(ওএস/এসপি/এপ্রিল ২৯, ২০২০)