পাবনা প্রতিনিধি : ঈশ্বরদী কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের উপ-সহকারী প্রশিক্ষক মিজানুর রহমানকে মারপিট ঘটনায় পাবনার ঈশ্বরদী পৌর যুবলীগ দাবী করা রুহুল আমিন কুদ্দুস তিনি যুবলীগের কেউ নয়। পৌর যুবলীগে তার কোন সদস্য পদ নেই বলে পাবনা জেলা যুবলীগ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

পাবনা ঈশ্বরদী উপজেলা পৌর যুবলীগের সভাপতি আলাউদ্দিন বিপ্লব এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেন পৌর যুবলীগের চাঁদা না দেওয়ার মারপিট এমন শিরনামে অনলাইনে একটি সংবাদ প্রচার হয় যা ভিত্তিহীন। কথিত যুবলীগ নেতা দাবী করা রুহুল আমিন কুদ্দুসের কোনো সদস্য পদ নেই । সে ঈশ্বরদী পৌর যুবলীগের কেউ না।

উল্লেখ্য,২ লক্ষ টাকা চাঁদা না পেয়ে কুদ্দুস ঐ উপ-সহকারীকে মারপিট করেন। এই ঘটনায় রাতে মামলা দায়ের করা হয়। কিন্তু গত তিনদিন পার হলেও আসামী কুদ্দুসসহ অন্যান্যদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এই কারনে ওই ইনস্টিটিউটের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবির জানান, কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে প্রশিক্ষক ও শ্রমিকদের মারপিট করাসহ চাঁদা দাবীর বিষয়ে থানায় মামলা হয়েছে। দোষীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে জেলা যুবলীগের আহবায়ক আলী মর্তুজা বিশ্বাস সনি বলেন, সে আমাদের কমিটির কেউ নয়।

যদি নাম ভাঙ্গিয়ে কেউ কোন অপকর্ম করে এর দায়ভার যুবলীগের নয়। ঘটনায় যারাই জড়িত থাক তাকে আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবী জানাই।

সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক শিবলী সাদিক বলেন, যুবলীগের নাম ভাঙ্গিয়ে কেউ অপর্কম করলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। পাবনা জেলা যুবলীগের পক্ষ থেকে ভবিষ্যতে এরকম ভিত্তিহীন সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে আরও সর্তকতা অবলম্বন করার জন্য সংবাদ মাধ্যম কে বিশেষভাবে অনুরোধ করার হয ।

(পিএস/এসপি/এপ্রিল ৩০, ২০২০)