বিনোদন ডেস্ক : 'যে ধর্ষণ করে সে সবসময়ই ধর্ষক'- এমন ভাবনার গল্পে নির্মিত হয়েছে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র 'দাগ'। এর গল্পে দেখা যাবে, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ধর্ষণের শিকার হওয়া একটি মেয়ে অনেক বছর পর বিয়ের রাতেও একই পরিস্থিতিতে পড়ে। কিন্তু তখন সে প্রতিবাদী হয়ে ওঠে। ছবিটিতে অভিনয় করেছেন শতাব্দী ওয়াদুদ, শারমিন জোহা শশী ও বাকার বকুল।

২০১৭ সালের মে মাসে ৭০তম কান চলচ্চিত্র উৎসবের শর্টফিল্ম কর্নারে অংশ নেয় এটি। তিন বছর কেটে গেলেও বাংলাদেশ থেকে এই ছবি দেখা যায়নি। অবশেষে সেই সুযোগ এলো।

ছবিটির পরিচালক জসীম আহমেদ জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম ভিমিয়োতে ১ মে মুক্তি পেয়েছে ‘দাগ’। এতে অন-ডিমান্ড-রেন্টাল সিস্টেমে পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকে এটি দেখা যাবে। ফলে মাত্র ১ ডলারের বিনিময়ে ছবিটি দেখতে পারবেন বিশ্বের যে কোনো মানুষ।

করোনাভাইরাস মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত অসহায়, দুস্থ ও দিনমজুরদের সাহায্যার্থে তহবিল সংগ্রহের জন্য আয়োজিত ‘ফিল্ম ফর হিউম্যানটি’ শীর্ষক উদ্যোগের অংশ হিসেবে অন্তর্জালে মুক্তি পেয়েছে ছবিটি।

প্রদর্শনী থেকে প্রাপ্ত অর্থের পুরোটাই অলাভজনক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের পেপল অ্যাকাউন্টে যুক্ত হবে। তাদের অ্যাকাউন্ট ভিমিয়ো পেজের সঙ্গে যুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।

জসীম আহমেদ বলেন, 'ব্রিটিশ পরিবেশনা সংস্থা শর্টস ইন্টারন্যাশনাল যখন ছবিটি আমেরিকা ও ইউরোপে মুক্তি দিলো তখন অনেকেই জানতে চেয়েছিলেন, দেশের মানুষ ‘দাগ’ কীভাবে দেখবে? সেন্সর জটিলতায় পড়ে সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারিনি। এবার তাদের জন্য সুখবরটি দিতে পেরে ভালো লাগছে।'

যুক্তরাজ্যভিত্তিক শর্টস ইন্টারন্যাশনালের স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবির বিশেষায়িত টিভি চ্যানেল শর্টস টিভির মাধ্যমে উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশের দর্শকরা গত তিন বছর ধরে দেখেছে ‘দাগ’। পশ্চিমা বিশ্বে ব্যাপক আলোচিত ব্রিটিশ পরিবেশনা প্রতিষ্ঠানটি অস্কার মনোনীত স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবি প্রদর্শন করে থাকে। কানের শর্টফিল্ম কর্নার থেকেই ‘দাগ’-এর টেলিভিশন লাইসেন্স নেয় শর্টস ইন্টারন্যাশনাল।

শর্টস টিভিতে সম্প্রচার ছাড়াও জসীম আহমেদের তিনটি ছবি থিয়েটার, টেলিভিশন, উড়োজাহাজ, মোবাইল ফোন, ভিডিও অন ডিমান্ড (ভিওডি) ও অন্যান্য অনলাইন প্ল্যাটফর্মে মুক্তি দেয় বৃটিশ পরিবেশক শর্টস ইন্টারন্যাশনাল।

নির্মাতা জসীম আহমেদ জানান, ছবিটি দেখলে টাকা পাবে অসহায় মানুষ। বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও বিকাশ নম্বরে টাকা পাঠানো যাবে। বিদেশ থেকে কেউ অনুদান দিতে চাইলে সংগঠনটির পেপ্যাল অ্যাকাউন্ট আছে।

(ওএস/এসপি/মে ০২, ২০২০)