করোনায় পৃথিবীর খাদ্য সঙ্কটে বাংলাদেশ ভূমিকা রাখবে : কৃষিমন্ত্রী
রঞ্জন কৃষ্ণ পন্ডিত, টাঙ্গাইল : আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এমপি বলেছেন, বিশ্ব খাদ্য সংস্থা ধারণা করছে করোনার কারণে বিশ্বে খাদ্য উৎপাদন কমে যাবে। বিশ্বে খাদ্য ঘাটতি দেখা দিবে। এমনকি খাদ্য ঘাটতির দেশগুলোতে দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের খাদ্যশস্য পর্যপ্ত পরিমাণ মজুদ আছে। এখন বোরোর ভরা মৌসুম, ধান কাটা চলছে। প্রাকৃতিক কোন সমস্যা না হলে ধানের বাম্পার ফলন হবে। আগামি ১৫-২০দিনে মধ্যে আমরা যদি বোরো ঘরে তুলতে পারি তাহলে আগামি ৬-৮মাস আমাদের খাদ্য নিয়ে ভাবতে হবেনা। এবার দুই কোটি চার লাখ মেট্রিকটন খাদ্যশস্য সংগ্রহ আমাদের টার্গেট। সারা পৃথিবীতে যদি খাদ্য সঙ্কট হয় সেখানেও যেন বাংলাদেশ ভূমিকা রাখতে পারে- সেলক্ষ্যে আমাদের কাজ করতে হবে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে আমরা আউশ, পাট, তিল চাষে সার ও বীজ সরবরাহ করেছি। গ্রীস্মকালীন সবজি চাষেও সার-বীজ সরবরাহ করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা করেছেন, পাঁচ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা ৪ শতাংশ সুদে কৃষকদের দেওয়া হবে। এ প্রণোদনার অর্থ যারা ফসল উৎপাদন করে তারা পাবে; পোল্ট্রী খামারী, মৎস্যচাষী, দুগ্ধ খামারীরা পাবে। এছাড়া ১৪-১৫ হাজার কোটি টাকা ৮-৯ শতাংশ সুদে যে কৃষিঋণ দেওয়া হয়, এবার সেটাও ৪ শতাংশ সুদে কৃষকদের দেওয়া হবে। প্রণোদণা যাতে প্রকৃত, ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকরা পায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
তিনি আরো বলেন, প্রণোদনা বা ত্রাণ নিয়ে কোন প্রকার অনিয়ম-দুর্নীতি সহ্য করা হবেনা। অনিয়ম-দুর্নীতির সাথে জড়িত যে দলেরই হোক, যেকোন চেয়ারম্যান-উপজেলা চেয়ারম্যান যেই হোক তাকে আইনের আওতায় এনে কঠোর হস্তে দমন করা হবে। শনিবার(২ মে) দুপুরে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলার করোনা পরিস্থিতি ও ত্রাণ কার্যক্রম বিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন।
টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সংসদ সদস্য মো. ছানোয়ার হোসেন, সংসদ সদস্য জোয়াহেরুল ইসলাম(ভিপি জোয়াহের), সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনির, জেলার ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমের সমন্বয়কারী নিবার্চন কমিশনের সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর, টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র জামিলুর রহমান মিরন, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ প্রমুখ।
সভায় জেলার সরকারি সকল দপ্তরের প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
(আরকেপি/এসপি/মে ০২, ২০২০)