মোঃ আব্দুল কাইয়ুম, মৌলভীবাজার : মৌলভীবাজারে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে সদর উপজেলার মোস্তফাপুর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড সদস্য ওয়াছির মিয়ার (৭০) জানাযার নামাজ শেষে দাফন কাজ সম্পন্ন হয়েছে। 

বুধবার (৬ মে) দুপুর দেড়টার দিকে পূর্বনির্ধারিত সময়ের একঘন্টা পুর্বে উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামে ইউপি সদস্য'র নিজ বাড়িতে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে জানাযার নামাজ শেষে দাফন কাজ সম্পন্ন করা হয়।

জানা যায়, সদর উপজেলার ১১ নং মোস্তফাপুর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের দুইবারের নির্বাচিত ইউপি সদস্য ওয়াছির মিয়া দীর্ঘদিন যাবত ডায়াবেটিস ও উচ্চরক্তচাপসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

বুধবার (৬ মে) ভোর ৫টার দিকে মৌলভীবাজার শহরের নুরজাহান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুর খবর গ্রামের সবগুলো মসজিদে সকাল থেকেই মাইকে প্রচার শুরু হয়।
দুপুর আড়াইটার দিকে পরিবারের পক্ষ থেকে জানাযার নামাজ এর জন্য সময় নির্ধারন করা হয় ।

তবে পুলিশ জানিয়েছে করোনা পরিস্থিতিতে তাদের অবগত করার কথা থাকলেও জানাযা ও দাফন নিয়ে ইউপি সদস্যর পরিবারেরর কেউ পুলিশের সাথে কোন যোগাযোগ করেননি। পুলিশ নিজে থেকেই সাধারণ মানুষকে রক্ষায় সামাজিক দূরত্ব বজায় নিশ্চিত করার উদ্যেগ নিয়েছে।

এদিকে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ইউপি সদস্য'র মৃত্যুর খবর পেয়ে মৌলভীবাজার সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিয়াউর রহমান এর নেতৃত্বে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে তাঁর বাড়িতে উপস্থিত হন।

এসময় পুলিশ সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে দ্রুত জানাযার নামাজ ও দাফন কাজ সম্পন্ন করার নির্দেশ দিলে নির্ধারিত সময়ের একঘন্টা পর্বেই প্রায় ২ শতাধিক মুসল্লীর উপস্থিতিতে জানাযার নামাজ সম্পন্ন হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন মোস্তফাপুর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম তাজ ও সাবেক চেয়ারম্যান শেখ রুমেল আহমেদসহ ইউপি সদস্যর শুভাকাঙ্ক্ষী ও পরিবারের সদস্যরা।

জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় জনপ্রিয় এই জনপ্রতিনিধিকে।

মৌলভীবাজার সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিয়াউর রহমান জানান, ইউপি সদস্য দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলেন, বার্ধক্যজনিত কারনে তাঁর মৃত্যু হয়েছে অন্য কোন কারনে নয়।তবে মৃত্যুর বিষয়টি আগে থেকে পুলিশকে কেউ জানাননি। আমরা খবর পাওয়া মাত্রই দ্রুত উপস্থিত হয়েছি এবং করোনা সংক্রমন রোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় নিশ্চিত করেছি।

(একে/এসপি/মে ০৬, ২০২০)