নবীগঞ্জ প্রতিনিধি : নবীগঞ্জে গজনাইপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ইমদাদুর রহমান মুকুলের বিরুদ্ধে খাদ্য বান্ধব সহায়তার (১০ টাকা কেজি চাল) কার্ড ছিড়ে ফেলাসহ এক নারীকে অশ্লীল ভাষায় গালাগালির অভিযোগ নিয়ে তোলপাড় চলছে। এনিয়ে ৭ মে বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার বনগাঁও গ্রামের ওয়াহিদ উল্লার স্ত্রী মেজবা বেগম নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের বনগাঁও গ্রামের ওয়াহিদ উল্লার স্ত্রী মিজবা বেগম। স্বামী ওয়াহিদ উল্লা অসুস্থ থাকায় স্ত্রী মিজবা বেগম স্বামীর খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১০টাকা কেজি দরে চাল গ্রহীতার কার্ড নিয়ে চাল আনতে গত ২৬ এপ্রিল ১০ টাকা স্থানীয় শতক বাজারে যান। আগেভাগেই চাল বিতরণে উপস্থিত ছিলেন নবীগঞ্জ উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ইমদাদুর রহমান মুকুল।

চাল বিতরণের ধারাবাহিকতা অনুযায়ী স্বামী ওয়াহিদ উল্লার নাম আহবান করার পর পর স্ত্রী মিজবা বেগম চাল নিতে এগিয়ে যান। তখন চেয়ারম্যান ইমদাদুর রহমান মুকুল তার স্বামী না আসার কারণ জানতে চাইলে ওয়াহিদ উল্লা অসুস্থ বলে জানান তার স্ত্রী মিজবা বেগম। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মুকুল ওয়াহিদ উল্লার স্ত্রীকে অশ্লীল ভাবে গালিগালাজ করেন। পরে টান মেরে ওয়াহিদ উল্লার ১০ টাকা কেজি দরের চাল গ্রহীতার কার্ড ছিড়ে ফেলেন। এঘটনায় গত (৭ মে) বৃহস্পতিবার প্রতিকার চেয়ে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী মিজবা বেগম।

অভিযোগের প্রেক্ষিতে গজনাইপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইমদাদুর রহমান মুকুলের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কার্ড ছিড়ে ফেলা বিষয় নয়,একজনের পরিবর্ততে আরেকজন এসে নিয়ে নেয় এতে করে সমস্যার সৃষ্টি হয়।

এ প্রসঙ্গে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিত কুমার পাল বলেন, চেয়ারম্যান সাহেব আর যেই হউক যদি কার্ড ছিঁড়ে থাকেন তবে বিষয়টি অবশ্যই খতিয়ে দেখা হবে।

(এম/এসপি/মে ০৮, ২০২০)