নিউজ ডেস্ক : মোনালিসার নাম আমরা যেমন জানি, তেমনি জানি এর শিল্পী লিওনার্দো দ্যা ভিঞ্চির নাম। কিন্তু এর বাইরে আমরা আর কি জানি তার ব্যাপারে? তার অন্যান্য শিল্পকর্মের ব্যাপারে, এমনকি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে তার গবেষণার কথাই বা আমরা কতটুকু জানি? একই ভাবে তার ব্যক্তিগত জীবনের কথাও মানুষের অজানা। আসুন জানি ভিঞ্চি সম্পর্কে যত অজানা কথা। এই কিংবদন্তী শিল্পীর জন্ম হয়েছিলো ১৪৫২ সালের ১৫ এপ্রিল।

ইতালির ফ্লোরেন্স অঞ্চলের ভিঞ্চি নগরিতে জন্ম নেন লিওনার্দো। মেসার পিয়েরো ফ্রুওসিনো দী আন্তোনিও দ্যা ভিঞ্চির অবৈধ সন্তান ছিলেন তিনি। তার মাতা ক্যাটেরিনা একজন মধ্যপ্রাচীয় দাস ছিলেন বলে ধারণা করা হয়। তার শৈশবের ব্যাপারে কমই জানা যায়। ১৪ বছর বয়সে ফ্লোরেন্সে সমসাময়িক শিল্পীদের মাঝে অন্যতম বিখ্যাত, ভেরুচ্চিওর কাছে দীক্ষা নিতে শুরু করেন তিনি। ভেরুচ্চিওর “ব্যাপ্টিসম অফ ক্রাইস্ট” ছবিটির পেছনে মূল অবদান ছিলো লিওনার্দোর। বলা হয়ে থাকে, এই ছবিতে তিনি এতো ভালো কাজ করেন, যে ভেরুচ্চিও এর পর আর কখনোই হাতে তুলি তুলে নেননি। তবে এটা বাড়িয়ে বলাও হতে পারে।
ফ্লোরেন্সের কোর্টের রেকর্ড অনুযায়ী, ১৪৭৬ সালে লিওনার্দো এবং আরও তিনজন যুবককে সমকামিতার অপরাধে অভিযুক্ত করা হয়, কিন্তু তারা পরে খালাস পেয়ে যান। এ সময়ে থেকে ১৪৭৮ সাল পর্যন্ত তার কাজকর্মের কোনো হদিস পাওয়া যায় না। ধারণা করা হয় ১৪৭৬ থেকে ১৪৮১ সালের মাঝে তিনি ফ্লোরেন্সে নিজের কর্মশালায় কাজ করেন। এ সময়ে করা তার কাজের মাঝে উল্লেখযোগ্য হলো অ্যাডোরেশন অফ দ্যা ম্যাজাই, দ্যা লাস্ট সাপার, ভার্জিন অফ দ্যা রকস ইত্যাদি।
১৫০০ এর সময়ে তার শিল্পকর্মের মাঝে সবচাইতে বিখ্যাত হলো মোনালিসা অথবা “লা জিওকোন্দা”। এখনো পর্যন্ত একে মনে করা হয় পৃথিবীর সবচাইতে বিখ্যাত শিল্পকর্ম। এ ছবি তার ভাসা ভাসা ছায়ার মতো কারুকার্যের জন্য নন্দিত, যাকে বল আহয়ে থাকে “ফুমাটো” অথবা লিওনার্দোর ধোঁয়া।
শুধুই কি শিল্পের জন্য বিখ্যাত লিওনার্দো? মোটেই নয়। বরং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নিয়ে তার দূরদর্শী চিন্তাভাবনাও উঠে আসে তার বিভিন্ন জার্নাল এবং স্কেচের মাঝে। এর মাঝে বিখ্যাত হলো “দ্যা ভিট্রুভিয়ান ম্যান”। স্থপতি ভিট্রুভিয়াসের কাজের ওপর ভিত্তি করে এই চিত্র অঙ্কন করেন লিওনার্দো, যাকে ধরা হতো মানুষের শরীরের নিখুঁত অনুপাতের ভিত্তি।
বিভিন্ন যন্ত্রের ডিজাইন তৈরির ক্ষেত্রেও সিদ্ধহস্ত ছিলেন লিওনার্দো। তিনি সেই প্রাচীন সময়েই চিন্তা করতে পেরেছিলেন মানুষের আকাশে ওড়ার ভবিষ্যৎ। পাখির ওড়ার প্রক্রিয়া থেকে মুগ্ধ হয়ে তিনি তৈরি করেন “ফ্লাইং মেশিন” এর এই ডিজাইন।
(ওএস/এটি/এপ্রিল ১৮, ২০১৪)
শুধুই কি শিল্পের জন্য বিখ্যাত লিওনার্দো? মোটেই নয়। বরং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নিয়ে তার দূরদর্শী চিন্তাভাবনাও উঠে আসে তার বিভিন্ন জার্নাল এবং স্কেচের মাঝে। এর মাঝে বিখ্যাত হলো “দ্যা ভিট্রুভিয়ান ম্যান”। স্থপতি ভিট্রুভিয়াসের কাজের ওপর ভিত্তি করে এই চিত্র অঙ্কন করেন লিওনার্দো, যাকে ধরা হতো মানুষের শরীরের নিখুঁত অনুপাতের ভিত্তি। - See more at: http://www.priyo.com/2014/04/15/64681-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%9C%E0%A7%9F%E0%A7%80-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A7%80-%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%93%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8B-%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE-%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%9E%E0%A7%8D%E0%A6%9A%E0%A6%BF#sthash.4nWwUP6U.dpuf