আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সম্প্রতি সৌদির প্রয়াত বাদশাহ আবদুল্লাহ বিন আবদুল আজিজ আল সৌদের ছেলে প্রিন্স ফয়সাল বিন আবদুল্লাহ আল-সৌদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি সৌদি।

এমনকি তিনি বর্তমানে কোথায় আছেন, কেমন আছেন সে বিষয়েও কিছু জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। ফলে সন্দেহ দানা বাঁধছে যে, তাকে হয়তো কর্তৃপক্ষ জোর করেই লোকচক্ষুর অন্তরালে রেখেছে।

সৌদি রাজপরিবারের সঙ্গে সম্পর্কিত একটি সূত্রও মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচকে এমন আশঙ্কার কথা প্রকাশ করেছে। এদিকে গত শনিবার এক বিবৃতিতে মানবাধিকার সংস্থাটি জানিয়েছে যে, প্রিন্স ফয়সাল বিন আবদুল্লাহ আল-সৌদকে গ্রেফতারের পর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রাখা হয়েছে।

সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকজন সৌদি প্রিন্স, প্রিন্সেস, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এবং সৌদি সরকারের বর্তমান ও সাবেক বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রিন্স ফয়সালের আটক হওয়ার ঘটনাও এসব ঘটনারই অংশ।

এর আগে গত মার্চে বর্তমান বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদের ভাই প্রিন্স আহমেদ বিন আবদুল আজিজকে গ্রেফতার করা হয়। এরপরেই সাবেক ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন নায়েফকে গ্রেফতার করা হয়।

রাজপরিবারের সদস্যদের এভাবে একের পর এক গ্রেফতারের ঘটনায় প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছেন ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। অভিযোগ উঠেছে যে, ৩৪ বছর বয়সী এই ক্রাউন প্রিন্স ক্ষমতায় যাওয়ার পথ সুগম করতেই এসব পদক্ষেপ নিয়েছেন।

দেশটির পরবর্তী বাদশাহ হিসেবে ক্ষমতায় যেতে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছেন ক্রাউন প্রিন্স সালমান। তার নির্দেশে সৌদিতে ইতোমধ্যেই ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে।

এদিকে, রাজ পরিবারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানিয়েছে, রাজধানী রিয়াদের উত্তর-পূর্বে একটি পারিবারিক ভবনে করোনাভাইরাস মহামারির কারণে সেলফ আইসোলেশনে ছিলেন প্রিন্স ফয়সাল। গত ২৭ মার্চ সেখান থেকেই তাকে গ্রেফতার করে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালে ক্রাউন প্রিন্সের নেতৃত্বে তথাকথিত দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের সময়ও রিয়াদের একটি বিলাসবহুল হোটেল থেকে ফয়সাল গ্রেফতার হন। পরে অবশ্য সৌদি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সাবেক এই প্রধানকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

(ওএস/এসপি/মে ১০, ২০২০)