চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : কক্সবাজার জেলায় করোনা রোগীর সংখ্যা ৯১ হলেও আপাতত জেলার একমাত্র কুতুবদিয়া উপজেলা করোনামুক্ত রয়েছে বলে জানা যায়। শুধুমাত্র উপজেলা প্রশাসনের তৎপরতা ও বিশেষ করে কুতুবদিয়া থানার ওসি মো. দিদারুল ফেরদৌসের একের পর এক জনবান্ধব পুলিশী উদ্যোগে এখনো করোনা সংক্রমণের বাইরে রয়েছে দ্বীপটি।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, ১০ মে ২৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করে করোনা টেষ্ট করা হয় এবং সবার ফলাফল নেগেটিভ রয়েছে। এর আগেও অনেকের টেস্ট করানো হয়। তবে ফলাফল সন্তোষজনক।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কুতুবদিয়া থানার ওসি দিদারুল ফেরদৌসের নেতৃত্বে পুলিশ প্রশাসনের দিনরাত ২৪ ঘন্টা তৎপরতা ও বাহিরের লোকজনের প্রবেশ ঠেকিয়ে দেওয়ার ফলে কুতুবদিয়ায় এখনো কেউ করোনায় আক্রান্ত হয়নি। এলাকার সাধারণ মানুষ এসবের জন্য প্রশংসার দাবিদার স্বরুপ কৃতিত্ব দিতে চান একমাত্র থানা ওসিকে। চারপাশে পানিবেষ্টিত এ দ্বীপের মানুষেরা সরকারি সাধারণ ছুটি পর্যন্ত বাহির থেকে গ্রামে কেউ প্রবেশ না করুক তা চায়।

এক্ষেত্রে স্থানীয় থানা পুলিশ কক্সবাজার জেলা সুপার এ বি এম মাসুদ হোসেন বিপিএম (বার) এর দিকনির্দেশনা কুতুবদিয়া উপজেলার ৫টি ঘাটে পুলিশি চেকপোস্ট স্থাপন করেছেন। দ্বীপের বাহির থেকে কেউ যেন ফাঁকি দিয়ে এলাকায় প্রবেশ করতে না পারে। যদিও কাজটি কঠিন তবে এই চ্যালেঞ্জটি হাতে নিয়ে সামনে এগুচ্ছে থানা ওসি। কেউ প্রবেশ করলে নিশ্চিত ১৪ দিনের কোয়ারাইন্টান পাঠাচ্ছে পুলিশ।

কুতুবদিয়া থানার ওসি মো. দিদারুল ফেরদৌস জানান, আজও ২৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় ফলাফল নেগেটিভ এসেছে। রবিবার পর্যন্ত কুতুবদিয়া থানা পুলিশ সর্বমোট ৪৪৩ জনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে পাঠিয়েছে। এর মধ্যে নারীর সংখ্যা ১১ জন। পাশাপাশি ১৮৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, সবার করোনা পরীক্ষার ফল নেগেটিভ এসেছে।

তিনি আরো বলেন, কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে যারা ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন শেষ করেছেন এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ সুস্থ্য বলে নির্বাচন করেছেন তাদের ১৪০ জন বাড়ি ফিরে গেছেন। বর্তমানে অারও ৩০৩ জন বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে আছেন। ওসি জানান, থানা পুলিশ দায়িত্ব নিয়ে চেষ্টা করছে মানুষকে মহামারি করোনা থেকে সুরক্ষিত রাখতে।

কক্সবাজার সিভিল সার্জন কার্যালায় সূত্র জানায়, জেলায় সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্ত রোগী হয়েছে চকরিয়া উপজেলায় ২৫ জন, সদর উপজেলায় ২২ জন, পেকুয়া উপজেলায় ১৪, মহেশখালী উপজেলায় ১২ জন, উখিয়া উপজেলায় ৮ জন, টেকনাফে ৬ ও রামু উপজেলায় ৪ জন। একমাত্র কুতুিবদিয়া উপজেলায় এখনো কোন করোনা রোগী শনাক্ত হয়নি।

(জেজে/এসপি/মে ১১, ২০২০)