নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর ধামইরহাটে স্বামীর পুরুষাঙ্গ কর্তনের অভিযোগ পাওয়া গেছে তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকে স্ত্রী পলাতক রয়েছে। আহত স্বামী মুমুর্ষ অবস্থায় ধামইরহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে এবং পরিবারের পক্ষ থেকে একটি মামলাও দায়ের করা হয়েছে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে ধামইরহাট উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নের দেউলবাড়ী গ্রামে।

জানা গেছে, দেউলবাড়ী গ্রামের মৃত ইনসান আলীর ছেলে হারুনুর রশিদ (৪৫) তার স্ত্রী ফরিদা বেগম (৩৮) এবং তাদের ২ সন্তান নিয়ে সংসার। এমতাবস্থায় শুক্রবার দিনগত রাতে স্ত্রী ফরিদা বেগম রাতের খাবার (পোলাও) খেয়ে সকলকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। মধ্যরাতে ধারালো হাসুয়া দিয়ে স্বামীর লিঙ্গে কোপ মারে স্ত্রী ফরিদা। এতে স্বামী প্রাণভয়ে মায়ের ঘরে গেলে স্ত্রীও পালিয়ে যায়। পরে রাতেই তাকে ধামইরহাট হাসপাতালে নিয়ে গেলে আংশিক কেটে যাওয়া লিঙ্গে একাধিক সেলাই দেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। এ ঘটনায় আহতের ভাই হাফেজ উদ্দিন বাদী হয়ে ধামইরহাট থানায় অভিযোগ করেছে। বর্তমানে আহত স্বামী ধামইরহাট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

এ ব্যাপারে ধামইরহাট থানার অফিসার ইনচার্জ শামীম হাসান সরদার বলেন, এটি স্বামী-স্ত্রী আভ্যন্তরিন দ্বন্দের কারণে ঘটেছে। স্বামী-স্ত্রী একে অপরকে অবিশ্বাস করার সূত্র থেকেই এমন ঘটনা ঘটতে পারে। স্ত্রী ফরিদা পলাতক রয়েছে। গ্রেফতারের পর বিষয়টির কারন জানা যাবে। তদন্ত চলছে।

(বিএম/এসপি/মে ১১, ২০২০)