লাইফস্টাইল ডেস্ক : হতাশা আপনাকে ঘিরে ধরার সুযোগ খুঁজতে থাকে সব সময়। আপনি একটুখানি প্রশ্রয় দিলেই সে এসে আপনাকে জড়িয়ে ধরবে। হতাশা বাড়ানোর মতো হাজারটা কারণ চারদিকে ছড়িয়ে আছে। সংক্রমণ নিয়ে দুশ্চিন্তা, আর্থিক অনিশ্চয়তা, কাছের মানুষের খারাপ ব্যবহার- এরকম আরও অনেক কারণে হতাশা বাড়তে পারে। কিন্তু আপনার প্রতিদিনের কিছু অভ্যাসও এই হতাশার কারণ হতে পারে তা জানেন কি? জেনে নিন কোন অভ্যাসগুলো হতাশা বাড়ানোর জন্য দায়ী-

অতিরিক্ত কফি পান: ক্লান্তি কাটাতে বা অলসতা দূর করতে কফি পান করার অভ্যাস আছে অনেকেরই। কিন্তু ব্লাডপ্রেসার যখন লো তখনও অত্যধিক কফি পান করলে উদ্বেগ বাড়ে। এতে হৃদস্পন্দন স্বাভাবিকের তুলনায় দ্রুত হয়। নার্ভাসনেসও বাড়ে। ফলে বাড়ে উদ্বেগ। উদ্বেগের হাত ধরে আসে হতাশা।

ঘুমের সমস্যা: উদ্বেগ বাড়ানোর অন্যতম নেপথ্য কারণ। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। অবসাদ বাড়ে। শরীর ক্লান্ত এবং অবসন্ন হয়ে পরে। কাজে মন বসে না। হতাশা বাড়ে।

নেতিবাচক চিন্তা: মনে যদি সারাক্ষণ নেতিবাচক চিন্তা ঘোরে তাহলে হতাশা কমবে কী করে? তাই যখনই মনে খারাপ চিন্তা আসবে ভালো কথা বা ইতিবাচক কোনো ঘটনার কথা ভাবুন। নইলে হতাশা আপনার পিছু ছাড়বে না।

অতিরিক্ত ফোন ব্যবহার: অতিরিক্ত ফোন ব্যবহার আপনার হতাশার কারণ হতে পারে। কে ফোন করল, কতবার করল, মেসেজ এলো কি না এসব নিয়ে দুশ্চিন্তা। কোনোকিছু মনের মতো না হলেই বাড়ে হতাশা। তাই প্রয়োজনের বাইরে যন্ত্র নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি না করাই ভালো।

খাবারে অনিয়ম: ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া না করলেও কিন্তু হতাশা বাড়তে। কারণ, শরীরে পর্যাপ্ত খাবার না খেলে এনার্জি লেভেল কমে। শরীর অবসন্ন হয়। আপনি অবসাদে ভোগেন। ফলাফল, দুশ্চিন্তা আর হতাশা।

একাকীত্ব: একাকীত্ব মানে কিন্তু একা থাকা নয়। অনেক মানুষের ভিড়েও আপনি একাকীত্ব অনুভব করতে পারেন। তাই যখনই দেখবেন দুশ্চিন্তা বাড়ছে হয় ফোনে যোগাযোগ করুন বন্ধুর সঙ্গে। যত কথা বলবেন এই সময়ে ততই মনের হতাশভাব কমবে।

নিজের সঙ্গে নেতিবাচক কথা: এই মুহূর্তে আমাদের চারপাশের পরিবেশ ভীষণ নেতিবাচক। তাই ইতিবাচক চিন্তা এর মধ্যে করা সত্যিই কষ্টের। তুচ্ছ কারণে একে অন্যকে সবসময় খারাপ মন্তব্য করছে বা ট্রোল করছে। এতে হতাশা আরও বাড়ছে। তবু তার মধ্যেই যারা ভালো কথা বলেন তাদের কথা মনে রেখে নিজের মনকে ইতিবাচক করুন।

(ওএস/এসপি/মে ১৩, ২০২০)