রহিম আব্দুর রহিম


লেখার প্রারম্ভে দু’টি সিনেমার কাহিনী ও একটি অভিজ্ঞতা উল্লেখ করেই শিরোনামে যাবো। ‘দশ্যুবনহুর’ নামে একটি সিনেমা শৈশবে দেখেছি; কাহিনীটি খুবই মজার। সবচেয়ে বড় মজা হলো, ‘দশ্যুবনহুর’ যখন গোয়েন্দা জালে আটকে পড়ে, তখন তার কন্ঠে, “ডোরাকাটা দাগ দেখে, বাঘ চেনা যায়, বাতাসের বেগ দেখে, মেঘ চিনা যায়, মানুষকে কি দেখে চিনবো বল?” গানটির মধ্য দিয়ে ছদ্মবেশ ধারণ করে গোয়েন্দাজাল ভেদ করে। ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’ এই সিনেমাটা দেখেছিলাম ৮০-৮২ সালের দিকে। এই সিনেমার ঘটনায় মজাটি হচ্ছে, নায়িকা ববিতা, ট্রেন যাত্রী, নেই তার কাছে টিকেট। ট্রেনের টিকেট কালেক্টর হাজির, এবার তাঁর কন্ঠে, “হায়রে কপাল মন্দ, চোখ থাকিতেও অন্ধ; এ জীবন জ্বাইলা-পুইড়া শেষ তো হলোনা” গানের মাঝে অন্ধ সেজে পার পেয়ে যায়। তৃতীয়টি গল্প নয়, অভিজ্ঞতা।

১৯৯৮-৯৯ এর দিকে; আমি তখন গবেষণা প্রতিষ্ঠান থেকে চাকরি ছেড়ে দিয়ে এক পশলা রাজনীতি করে জেলে গেলাম। জেল থেকে বের হয়ে, চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার নওহাটা ফাযিল মাদরাসায় বাংলা প্রভাষক হিসেবে যোগদান করলাম। থাকি প্রত্যন্ত পল্লীর লোধপাড়া নামে এক গ্রামে। ওই গ্রামের ফিডার রোড ঘেঁষা জনতাবাজার। প্রতিদিন ওই বাজারে গ্রামের মানুষরা নানা আড্ডায় একত্রিত হন। আমিও নিয়মিত আড্ডায় যাই। প্রচন্ড গরম, ‘আমার একছাত্র, ওর নাম সাজ্জাত হোসেন মোহন, ১০-১২ বছর বয়স হবে। ও পড়া-লেখা করে গ্রামের জামে মসজিদ হাফিজখানায়।

আমি ওকে সাধারণ বিষয়গুলো পড়াই, থাকি ওদের বাড়িতেই। জনতা বাজারে আড্ডা চলছে। মোহন একটি গ্লাসে পানি এনে, ভরা সভায় হাসতে হাসতে বলছে, ‘এই পানিতে আর্সেনিক পাওয়া গেছে।’ আমরা বললাম, হাসির কি আছে? আর্সেনিক থাকতেই পারে! এবার ও আরও জোরে সোরে হাসা শুরু করল। এবার কেউ ওকে পাগল, কেউ ‘বেয়াদপ’, কেউ ‘হুজুর মানেই মুজুর’, কেউ আবার, ‘মাস্টার যেমন ছাত্র তেমন’, এরূপ তিরস্কার বাক্যবাণে আড্ডাস্থল ঘোলাটে করে ফেলেছে। এবার আমি আড্ডাস্থল থেকে ওঠে, ওর একটি হাত কষে ধরলাম; রাগান্বিত কন্ঠে বললাম, ‘কি হয়েছে?’ “এট্টা তো ডাবের হানি।” অর্থাৎ গ্লাসের পানিটা ছিলো ডাবের।

ওই সময় সারাদেশের টিউবওয়েলের পানিতে আর্সেনিক আতংকে সারা দেশ টাল-মাটাল। বাড়ি বাড়ি পরীক্ষা হচ্ছে টিউবওয়েলের পানি। আমার এই ছাত্র বাড়িতে বসে ডাব খাচ্ছিল, এমন সময় আর্সেনিক পরীক্ষকরা বাড়িতে হাজির। মোহন দুষ্টুমির ছলে, গ্লাসে করে ডাবের পানি এনে পরীক্ষকদের হাতে তুলে দেয়, তারা এই পানি পরীক্ষা শেষে, মাত্রাতিরিক্ত আর্সেনিক রয়েছে বলে রিপোর্ট দেয়। এই রিপোর্ট পাওয়ার পর, মোহন বাজারে গিয়ে তার অভিজ্ঞতা বর্ননা করে। মোহন এখন বিদেশ থাকে। সন্তানের বাবা।

পরে জেনেছিলাম আর্সেনিক ইস্যুটাকে কেন্দ্র করে টিউবওয়েল কোম্পানিদের সাথে পরীক্ষকদের যোগসূত্রের কারণেই নাকি ওইসময় সবধরনের টিউবওয়েল গুলোতে আর্সেনিক পাওয়ার হিড়িক পড়েছিল। আমার এ তথ্য কতটুকু সত্য জানি না, তবে ঘটনা বাস্তব। শিরোনামের সাথে আমার বিষয়ের যোগ-বিয়োগ পাঠক করবেন। আমি শুধু বর্ননা দিচ্ছি মাত্র। দেশী-বিদেশী করোনা রোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনা রোগী চিহ্নিত করতে হলে, ফুসফুস প্রক্রিয়ায় পরীক্ষা নিরীক্ষা ৯০% নিশ্চিত হওয়া যায়, কফ পরীক্ষা নিশ্চিত করে ৭২%, নাকের শ্লেষ্মার নমুনায় ৬০%, শ্বাসনালীর নিম্নাংশের নমুনায় ৩২%, মলের নমুনায় ২৯% এবং রক্তের নমুনায় মাত্র ১% নিশ্চিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

অথচ আমাদের দেশ বা বিশ্বেও কোন দেশে কিভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষা হচ্ছে তা জানা নেই, তবে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকার রিপোর্ট অনুযায়ী জেনেছি, ঝিনাইদহের শৈলাকূপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর একজন চিকিৎসক, নয় জন স্বাস্থ্য কর্মী, করোনা পরীক্ষা করান; তাদের সবার রিপোর্ট আসে করোনা পজেটিভ। তাঁদের সন্দেহ হলে, তাঁরা আইইডিসিআরে তাদের নমুনা পাঠান। এবার দু’জন পজেটিভ, ৭ জন নেগেটিভ আসে। এই দু’জন পজেটিভ রোগীর নমুনা পৃথিবীর অন্য কোথাও পাঠালে হয়তো এটাও নেগেটিভ হয়ে যেতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন।

নেত্রকোনার খালিয়াজুড়ি উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসক মাসুদুর রহমান ও স্বাস্থ্য পরিদর্শক মো: দেলওয়ার হোসেন করোনা পরীক্ষায়, প্রথমে পজেটিভ আসে, তিনদিন পরের রিপোর্ট নেগেটিভ। ২৯ এপ্রিল পাঠক প্রিয় একটি অনলাইন পত্রিকার এক রিপোর্টের শিরোনাম ছিল, ‘এই দায় কার, একই ব্যক্তির দুই রিপোর্ট, মৃত্যুর আগে পজেটিভ, ১৩ ঘন্টা পর নেগেটিভ’ সংবাদ শিরোনামের সারাংশ; ‘মো: জামাল উদ্দিন (৭০), নারায়নগঞ্জের মাসদাইর এলাকার বাসিন্দা। কিডনী জটিলতায় তিনি হাসপাতালে ভর্তি হোন, গত ২০ এপ্রিল।

এর মধ্যেই ফুসফুসে পানিও জমেছিল, ভর্তির পর সেদিনই, তার করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ২৪ এপ্রিলে আসা রিপোর্টে জামাল উদ্দিনের করোনা পজিটিভ উল্লেখ করা হয়। সেদিনই তাকে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হলে, সেরাতেই তিনি মারা যান। তাঁর মৃত্যুর ১৩ ঘন্টা পর মৃত ব্যক্তির পরিবারের মুঠোফোনে, ক্ষুদে বার্তা আসে যে, জামাল উদ্দিন করোনা নেগেটিভ। এতক্ষনে তাঁর লাশ দাফন হয়েছে করোনা পদ্ধতিতে।

জামাল উদ্দিনের মৃত্যুর জন্য কে দায়ী, জানি না। তবে অসুস্থ জামাল উদ্দিনের যখন করোনা নেগেটিভ এসেছিলো, তখন থেকেই ওই ব্যক্তির ধারে কাছে ছিলো না তাঁর আত্মীয় স্বজনরা, কাছেও যায়নি চিকিৎসকরা- এটাই সত্য। তাঁর মৃত্যু যদি স্বাভাবিক হয়ে থাকে তবে, মৃত্যুর আগে তিনি সাধারণ সেবা থেকে কেনো চরমভাবে বঞ্চিত হলেন! রাজধানীর শেওড়াপাড়ায় রেবেকা সুলতান, অসুস্থ অবস্থায় ৩৩৩ নাম্বারে ফোন করে সেবা পায়নি। পরে তার স্বজনরা তাকে নিয়ে সারা ঢাকা শহরের ছ’টি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করার জন্য ঘুরেছে; ভর্তি করাতে পারেননি; কারণ, ভর্তি করাতে করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট দেখাতে হয়। তার সার্টিফিকেট মিলেনি; শেষ পর্যায়ে ৯ ঘন্টা, এই হাসপাতাল থেকে ওই হাসপাতাল ঘুরে অ্যাম্বুলেন্সেই তাঁর মৃত্যু হয়।

এ ঘটনা কিন্তু কোন বন-জঙ্গলের নয়, বিচ্ছিন্ন কোন দ্বীপের নয়, সভ্য পৃথিবীর করোনা দেশের। একই ঘটনা ঘটেছে ভারতের ২৪ পরগনায়। যে সংবাদটি ভারতের দৈনিক প্রতিদিন নামে একটি পত্রিকায়, ১১ মে প্রকাশ হয়েছে। শিরোনাম ছিলো, “চার হাসপাতালে ঘুরে মেলেনি চিকিৎসা, অকালে মৃত্যু ক্যান্সার আক্রান্ত দুধের শিশুর।” সংবাদটির বডিতে বলা হয়েছে, ‘এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে রেফার। রবিবার সন্ধায়, উত্তর ২৪ পরগনার বামনগাছি এলাকার দু’বছরের প্রিয়াংশি সাহার মৃত্যু হয়। পরিবারের অভিযোগ, গত বছর থেকে ক্যান্সারে ভুগছিল সে। কেমো দিতে হতো। গত ছয়দিন ধরে এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে ছুঁটেছেন তারা; কিন্তু কোথাও প্রিয়াংশিকে নেওয়া হয়নি। তাই, অকালে প্রাণ হারালো মেয়ে। এই ঘটনার দুটি পিঠ; এক পিঠে মানুষের ভরসার স্থল, ‘চিকিৎসক ও চিকিৎসা কেন্দ্র’, অন্য পিঠে ভুক্তভোগী।

আমরা কি করোনাকালে ভুলে যাচ্ছি, সভ্য পৃথিবীর ইহজগতে মানুষের মধ্যে শিশুরা, তার মা-বাবাকে ভরসার স্থল মনে করে। বিবেকবান, আইনধারা তাড়িত এবং নানা ধর্মের আদর্শের মনুষ্য সমাজ, ভরসার স্থল হিসেবে ‘চিকিৎসক’ এবং ‘বিচারক’কেই বেছে নেন। ঘটনাগুলো এই করোনার পৃথিবীর সিনেমার ডোরা কাটা বাঘের গল্প নয়, একেবারেই চাঁদপুরের সাজ্জাদ মোহনের ডাবের পানি। এবার ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’র বর্ননা দিতেই হয়।

পৃথিবী জুড়ে যখন মানুষ মহামারী কোভিড-১৯ আতংকে কাঁপছে, তখন স্বাস্থ্য বিধি লঙ্ঘন করে শত শত নারী, পুরুষ, বয়:বৃদ্ধ হাঁটে-বাজারে, রাস্তা-ঘাটে ঠেলে-ঠুলে, গাদাগাদি, ঠাসাঠাসি করে তেল, সাবান, ফিতা, চুড়ি কিনার মহোৎসবে নেমেছেন। এর মাঝেই রাজনৈতিক ব্যক্তিরা, তাঁদের সানগ্লাসে সরকারের চতুর্মূখি ব্যর্থতা দেখছেন। সাজ-গোছ, পোষাক পরিচ্ছেদ বাঁচার উর্দ্ধে নয়, এই কথা যে জাতি বুঝে না; তাঁদেরক ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’র সাথে তুলনা করলে, গোলাপীর মর্যাদা যে হানি হবে, এতে কোন সন্দেহ নেই। আমরা চর্ম চোক্ষে যেমন দেখছি, ডোরাকাটা বাঘ, চোখ থাকা অন্ধদের মিছিল, তেমনি হতাশার অন্ধকারে আলোকিত মানুষদের সমাবেশও কম নয়।

১২ মে একটি জাতীয় পত্রিকার শেষের পাতায়, ‘রোগীর সেবা থেকে দাফন সবখানেই তারা’ শিরোনামের একটি সংবাদ, আমাদের প্রচন্ড সাহসী করে তুলেছে। শুধু তাই নয়, এ যেনো হিংস্র পশুর বনে মহা মানবতার আলো। সংবাদটির শিরোনামের সারাংশ, “স্বেচ্ছাসেবী ‘জুনায়েদ আহসান বিডি আত্মসেবা ফাউন্ডেশন’ নামের একটি সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা, যিনি বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানের সাধারণ সম্পাদক। সংগঠনটির শুরু ২০১৭ সালের ২৭ জুলাই রক্তদানের মধ্য দিয়ে। প্রত্যক্ষ সদস্য ২ শতাধিক, তাদের ফেইসবুক গ্রুপে যুক্ত আছেন প্রায় ২ হাজার সদস্য।

করোনাকালীন প্রত্যক্ষ সেবক হিসাবে জুনায়েদের সাথে রয়েছেন, ফেরদৌস আহমেদ, আবীর, হৃদয় হোসাইন, মাহমুদুল হাসান, মনির হোসেন, কাজী আব্দুল হাকিম ও দেলওয়ার হোসেন। সম্প্রতি জুনায়েদের গ্রুপের এক স্বেচ্ছাসেবক করোনা আক্রান্ত হয়। তাকে ভর্তি করা হয় ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে। জুনায়েদরা বিশেষ ব্যবস্থায় করোনা আক্রান্ত সাথীকে দেখতে যান হাসপাতালে। হাসপাতালের দৃশ্য ওঠে আসে, রোগীদের করুন অবস্থা, স্বজনরা রোগীদের কাছে যেতে পারছেন না বলে, তারা প্রয়োজনীয় খাবার-দাবার, ওষুধপত্র পেতে অসহনীয় কষ্ট ভোগ করছেন।

তাদের আত্মীয় স্বজনরাও জিনিসপত্র সরবরাহে চরম ঝামেলা পোহাচ্ছেন। ডাক্তারদের পরামশ অনুযায়ী অনেক রোগীই লেবু, মালটা, আদা, মৃদু গরম পানি পাচ্ছেন না। কোথায় পাবে তা? সবকিছু দেখে জুনাইদ ও তাঁর বন্ধুরা সিদ্ধান্ত নেয়, তাঁরাই করোনা যুদ্ধের ফ্রন্ট লাইনের সেবক হবে। যেই কথা, সেই কাজ, করোনা আক্রান্ত রোগীদের সাথে যোগাযোগ করে তারা প্রত্যক্ষ সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।” জুনায়েদরা বেঁচে থাকলেই, আমরা বেঁচে থাকবো; বাঁচবে পৃথিবীর মানবকুল। বর্তমান সরকার পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মত করোনাকালে মানুষের জীবন যুদ্ধে এগিয়ে এসেছেন। এ যাবৎ সাড়ে ৪ কোটি মানুষের মাঝে ত্রাণ দিয়েছেন সরকার।

ক্ষতিগ্রস্থ আরও ৫০ লাখ দরিদ্র পরিবারের জন্য ১,২৫৭ কোটি টাকা ছাড় হয়েছে। ১৪ মে প্রধানমন্ত্রী এর বিতরণ কার্যক্রম শুরু করবেন। কৃষক, ক্ষুদে ব্যবসায়ী, বিভিন্ন প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য এই প্রনোদনা ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ সরকার। কথায় কথায়, এই কাজ সরকারের, ওই কাজ সরকারের না বলে, আত্মউপোলদ্ধি ও আত্মসমালোচনার সময় আমাদের দুঁয়ারে।

করোনাকালীন এই মুহুর্তে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় অন্ধদের চোখ খুলতে ঐক্যবদ্ধ সাংস্কৃতিক আন্দোলন শুরু হওয়া উচিত। আমাদের মনে আছে, ২০০৫-০৬ সালের দিকে সারাদেশের পোল্টি ফার্মগুলোতে যখন বার্ড ফ্লু নামক ভাইরাসে উৎপাদিত মুরগি ছানা ঢালাওভাবে মরা শুরু করল, তখন এই সাংস্কৃতিক কর্মীরাই বার্ড ফ্লুর নেপথ্যের ফার্ম মালিকদের চাতুরতা পথনাটক, গণসঙ্গীতের মধ্য দিয়ে জাতিকে সচেতন করে তুলেছিল। বর্তমান অবস্থায় বলা যায়, কাঙালের কথা বাসি হলেই ফলবে।

লেখক : শিক্ষক, নাট্যকার ও গবেষক।