স্টাফ রিপোর্টার : তিন কোটি আট লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় কারা অধিদফতরের উপ-মহাপরিদর্শক (সাময়িক বরখাস্ত) বজলুর রশিদের জামিন মঞ্জুর করেননি হাইকোর্ট।

বুধবার (১৩ মে) দুপুরে হাইকোর্টের বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিমের নেতৃত্বাধীন ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে ভিডিও কনফারেন্সে বজলুর রশিদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মেসবাহুল ইসলাম আসিফ। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ।

পরে দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, বজলুর রশিদের অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনা করে ভার্চুয়াল হাইকোর্ট জামিন দেননি।

মেজবাহুল ইসলাম আসিফ বলেন, আদালত জামিন দেননি, বলেছেন রেগুলার কোর্টে (ছুটি শেষে) যেতে।

পরে খুরশীদ আলম খান বলেন, গত জানুয়ারি মাসেও তার জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল কিছু ডিরেকশন দিয়ে খারিজ করে দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। আজ শুনানি হয়েছে কিন্তু তিনি জামিন পাননি।

গত ৬ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতির মামলায় কারা অধিদফতর থেকে বরখাস্ত ডিআইজি প্রিজন বজলুর রশিদের জামিন নামঞ্জুর করেন নিম্ন আদালত। এর আগে ২৯ জানুয়ারি বজলুর রশিদের প্রশ্নে জারি করা রুল খারিজ করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ মামলার তদন্ত ছয় মাসের মধ্যে সম্পন্ন করতে বলা হয়।

ঘটনার বিবরণী উল্লেখ করে তখন রাষ্ট্র পক্ষ জানিয়েছিল, ডিআইজি বজলুর রশিদ অবৈধ সম্পদের অর্থ থেকে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীতে তিন কোটি আট লাখ টাকা দিয়ে একটি ফ্ল্যাট ক্রয় করেন। এ বিষয়ে দুদক সম্মিলিত ঢাকা জেলা কার্যালয়-১ এ উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন বাদী হয়ে অসদ উপায়ে অর্থ উপার্জনের অভিযোগে দুদক আইনের ২৭ (১) ধারায় মামলা করেন।

এজাহারে বলা হয়, ঢাকার সিদ্ধেশ্বরী রোডে রূপায়ন হাউজিংয়ের স্বপ্ন নিলয় প্রকল্পের দুই হাজার ৯৮১ বর্গফুট আয়তনের একটি অ্যাপার্টমেন্ট কেনেন বজলুর রশিদ। এর দাম হিসাবে পরিশোধ করা তিন কোটি ৮ লাখ টাকার কোনো বৈধ উৎস তিনি প্রদর্শন করতে পারেননি।

গত বছর ২০ অক্টোবর দুদক পরিচালক মো. ইউসুফের নেতৃত্বে একটি টিম তাকে গ্রেফতার করে। ওইদিন তাকে আদালতে হাজির করে কারাগারে পাঠানো হয়।

(ওএস/এসপি/মে ১৩, ২০২০)