অমল তালুকদার, পাথরঘাটা (বরগুনা) : এই দুর্যোগ মূহুর্তে করোনায় পুলিশ কর্মকর্তার জানাজা দিয়ে আলোচনায় আসেন বরগুনা-২ আসনের এমপি রিমন। এর পরেই আবারও ব্যাতিক্রমী কাজ করে মানবিকতার দেখালেন এমপি রিমন। 

সদ্য ভারত থেকে কিডনি রোগের চিকিৎসা শেষে দেশে আসার পরে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকা চাচা-ভাতিজাকে এমপি রিমন নিজের তত্বাবধানে ভাড়াটিয়া বাসায় হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখেন। ওই চাচা-ভাতিজার বাড়ি উপজেলার কাকচিড়া ইউনিয়নের মধ্য কাটাখালী গ্রামে। ভাতিজা আতিকুল ইসলাম নাইমের (৩০) কিডনি রোগের চিকিৎসা করাতে নিয়ে জান চাচা আবুল কালাম আজাদ (৪৫)। গত ১০ মে ভারত থেকে চিকিৎসা শেষে বাংলাদেশের সীমান্ত বেনাপোল থেকে পাথরঘাটায় আসেন।

বরগুনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান রিমন বলেন, আমাকে মোবাইল ফোনে আবুল কালাম আজাদ হাসপাতালের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে অব্যবস্থাপনা ও সেবা না পাওয়ার বিষয়টি আমাকে জানালে আমি মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার সময় পাথরঘাটা হাসপাতালে গিয়ে তাদেরকে আমার নিজ ভাড়াটিয়া ফ্লাটের একটি কক্ষে রেখে সেবা করা হচ্ছে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেবা দেয়া হচ্ছে।

এমপি রিমন আরো বলেন, ওই চাচা-ভাতিজাকে হোমকেয়ারেন্টাইনে রাখার জন্য ইউএইচএফপিও এর কাছে বললেও তিনি তাদেরকে হাসপাতালের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখার পরামর্শ দেন। সে অনুযায়ী প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখলেও সেবা এবং দেখভাল না করার অভিযোগ পাওয়া যায়। তাছাড়া প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে ছিলনা কোন ফ্যান কিংবা বিছানা। ওই রোগীদের করোনার কোন উপসর্গ না থাকলেও তাদেরকে যেভাবে বদ্ধ ঘরে রাখা হয়েছে তাতে তারা আরও অসুস্থ হয়ে পরেছেন। যখন শুনেছি রোযাদার ব্যাক্তিকে ইফতার সামগ্রী এবং খাবার পানিটুকুও দেয়া হয়নি তখন আমি আর স্থির থাকতে পারিনি। এর দায় টিএইচও এড়াতে পারেনা।

কিডনি রোগী নাইম জানান, আমি কিডনী রোগের চিকিৎসা নিয়ে ভারত থেকে এসেছি ইমিগ্রেশন সহ সীমান্তে কয়েক ধাপে পরীক্ষা নীরিক্ষা করেও কোন উপসর্গ পায়নি। তার পরেও পরিবারসহ সকলের কথা বিবেচনা করে বাড়িতে না গিয়েই হাসপাতালে এসেছি। কতৃপক্ষ আমাদেরকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখলেও যতটুকু সেবা পাওয়ার কথা তা পাইনি। যেখানে আমাকে প্রতি মুহুর্তে পানি খাওয়ার কথা সেখানে ১৪ ঘন্টায় পানি দেয়া হয়নি। আমার চাচা রোযাদার ব্যাক্তি তাকেও ইফতারী দেয়া হয়নি।

লোকবল সংকটের কথা স্বীকার করে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সের প:প: কর্মকর্তা মোহাম্মাদ আবুল ফাত্তাহ বলেন, আমাদের সাধ্য অনুযায়ী তাদের সেবা এবং দেখাশোনা করেছি।

পানি ইফতারের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি দৈনিক দুইবার খোঁজ খবর নেই তবে পানি এবং ইফতারের বিষয়টি আমাদের জানালে আমরা ব্যাবস্থা করতাম।

(এটি/এসপি/মে ১৪, ২০২০)