কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষক ও ইউপি সদস্যসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রবিবার রাতে উপজেলার শাদীপুর গ্রাম থেকে তাদের আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সোমবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করা হয়।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওবাইদুর রহমান জানান, ‘গত ৬ তারিখ সন্ধ্যায় উপজেলার পার্শ্ববর্তী শাদীপুর গ্রামের মারু মালিথার ছেলে জুয়েল (২৪) একই গ্রামের এক কিশোরী কন্যাকে (১৫) বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে পার্শ্ববর্তী মাঠে ধর্ষণ করে।
ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ধর্ষিতার বাড়ি থেকে থানায় অভিযোগের ভিত্তিতে ওই এলাকার ইউপি সদস্য আব্দুল মজিদ ধর্ষিতার পরিবারকে মিমাংসার জন্য চাপ দেয়। কিন্তু ধর্ষিতার পরিবার গ্রাম্য শালিসে মিমাংসায় রাজি হয় না।
মিমাংসায় রাজি না হলে রবিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ইউপি সদস্য আব্দুল মজিদের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রের মুখে ধর্ষিতার বাড়িতে হামলা চালিয়ে তার পিতাকে পুনরায় মিমাংসার জন্য চাপ দিতে থাকে এবং তাদের বাড়িঘর ভাঙচুরসহ প্রাণনাশের হুমকিও দেয়।
খবর পেয়ে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীমুল হক পাভেলের নেতৃত্বে দৌলতপুর থানা পুলিশ রবিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে শাদীপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে ধর্ষকের বাড়ি থেকে ধর্ষক জুয়েল ও তার পিতা মারু মালিথা এবং ইউপি সদস্য আব্দুল মজিদকে গ্রেপ্তার করে। ধর্ষকের বাড়ি থেকে পুলিশ দেশীয় অস্ত্র লাঠি সোটাও উদ্ধার কর।
এ ঘটনায় ৩ জনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দৌলতপুর থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।
(কেকে/এএস/আগস্ট ১১, ২০১৪)