নিজস্ব প্রতিনিধি : মাদারীপুর এলজিইডি’র আঞ্চলিক তত্বাবধায়ক  প্রকৌশলীর দপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী (চলতি দায়িত্ব) মোখলেছুর রহমান টানা ২ মাস নিজ কর্মস্থলে অননুমোদিত ভাবে অনুপস্থিত থেকে রবিবার পাবনা এলজিইডিতে কোন ছাড়পত্র ছাড়াই নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে যোগদান করেছেন। 

তার এই অনিয়মতান্ত্রিক যোগদানে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। একই সাথে এদিনই এলজিইডি প্রধান কার্যালয়ে বদলি করা হয়েছে পূর্বতন নির্বাহী প্রকৌশলী একেএম বাদশা মিয়াকে।

এদিকে এলজিইডি মাদারীপুর অঞ্চলের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খন্দকার মো. মাহবুব হোসেন স্বাক্ষরিত ৪৬.০২.৫৪০০.১৭৫.১৮.১৩.০১৯.২৭৪ নং স্মারকে ১৪/০৫/২০২০ তারিখে ইস্যুকৃত প্রধান প্রকৌশলী বরাবর প্রেরিত চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, মাদারীপুর এলজিইডি’র চলতিদায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান ১৬/০৩/২০২০ ইং তারিখ থেকে নিজ কর্মস্থলে অননুমোদিত ভাবে অনুপস্থিত রয়েছেন। এতে সরকারের উন্নয়নমুখি কর্মকান্ড বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। ওই পত্রে মোখলেছুর রহমানের বিরুদ্ধে বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানানো হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে পাবনায় সদ্য যোগদানকৃত নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান বলেন, আমি ঢাকাতে ছিলাম। আমার বাচ্চা অসুস্থ। সরাসরি পাবনাতে এসে যোগদান করেছি। যে কারণে কোন ছাড়পত্র নিতে পারিনি।

সদ্য বদলী হওয়া নির্বাহী প্রকৌশলী একেএম বাদশা মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার চাকুরি বদলিযোগ্য। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এখান থেকে বদলী করেছেন। রোববার আমি ছাড়পত্র নিয়েছে পাবনা অফিস থেকে।
এলজিইডি’র রাজশাহী বিভাগীয় কর্মকর্তা প্রকৌশলী আব্দুল মালেক সরকারেকে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি শুরুতেই বলেন, আমি রোজা আছি, গাড়ীতে অবস্থান করছি। খুব ক্লান্ত কথা বলতে পারছি না।

জানতে চাওয়া হয়, ছাড়পত্র ছাড়া কোন কর্মকর্তা এক কর্মস্থল থেকে অন্য কর্মস্থলে যোগদান করতে পারেন কি না? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছু বলতে পারবো না। আপনার কিছু জানার থাকলে প্রধান প্রকৌশলীর সাথে যোগাযোগ করেন।

আর প্রধান প্রকৌশ মো : আব্দুর রশিদ খান বলেন, ছাড়পত্র ছাড়া কোন কর্মকর্তা একস্থল থেকে অন্যস্থলে যোগদান করতে পারেন না। বিষয়টি তিনি দেখছেন বলে জানান।

(পিএস/এসপি/মে ১৭, ২০২০)