নিউজ ডেস্ক : করোনা পরিস্থিতির কারণে দারিদ্র্র্যের হার বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে এমন আশঙ্কা করে দারিদ্র বিমোচনে আসছে ২০২০-২১ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে দরিদ্র মায়েদের জন্য বাজেট বরাদ্দ দাবি করেছে বেসরকারি সংস্থা ডরপ।

মঙ্গলবার (১৯ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবির কথা জানিয়েছেন মাতৃত্বকালীন ভাতা এবং স্বপ্ন প্যাকেজ প্রবর্তনকারী সংগঠন ডরপের উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আব্দুল মান্নান চৌধুরী, নির্বাহী পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আজহার আলী তালুকদার ও প্রতিষ্ঠাতা এ এইচ এম নোমান।

বিবৃতিতে তারা বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় বর্তমানে দেশে কম-বেশি ৭ লাখ দরিদ্র মা মাতৃত্বকালীন ভাতা পাচ্ছেন। সাধারণত একটি ইউনিয়নে গড়ে ৭০-৮০ জনের বেশি গরিব মা গর্ভবতী পাওয়া যায় না। তাই ভাতা প্রদানের সাত শর্তযুক্ত নীতিমালা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রকৃত মা নির্বাচনের জন্য ও ‘মাতৃত্বকালীন ভাতা’র গুণগত মান ধরে রাখার জন্য সংখ্যা না বাড়িয়ে মেয়াদকাল ৩ বছরের স্থলে স্কুল ভর্তি পর্যন্ত ডাটাবেজসহ ৫ বছর করা ও ভাতার পরিমাণ ৮০০ টাকার স্থলে গার্মেন্টস শ্রমিকদের সর্বনিম্ন মজুরির সমান ৮ হাজার টাকা প্রদানের জন্য বাজেট বরাদ্দ দাবি করছি।

তারা আরও বলেন, দারিদ্রের উৎস বন্ধের দিকে নজর না দিলে দারিদ্র বিমোচন হবে না। এসডিজির সাত এজেন্ডার এক নম্বর এজেন্ডা ‘দারিদ্র বিমোচন’ লক্ষ্য অর্জনে মাতৃত্বকালীন ভাতা কেন্দ্রীক ‘স্বপ্ন প্যাকেজ’ কর্মসূচি হতে পারে এর মূল ভিত্তি। দেশের এক কোটি দরিদ্র মাকে টার্গেট করে ২০ বছর এক প্রজন্ম মেয়াদে বছরে ৫ লক্ষ মাকে টার্গেট করে ‘স্বপ্ন প্যাকেজ’ কার্যক্রম রাষ্ট্রীয়ভাবে বাস্তবায়নের আবেদন করছি। তাহলে কেউ স্বাস্থ্য পুষ্টি স্যানিটেশন, শিক্ষা, গৃহ, কর্মসংস্থানহীন থাকবে না। ফলে দারিদ্র বিমোচনের পাশাপাশি বৈষম্য কমার ভিত্তি তৈরি হবে। স্বপ্ন প্যাকেজ কার্যক্রম বাস্তবায়নে প্রয়োজন শুধু ‘এক মা এক লাখ টাকা’ বাজেট বরাদ্দ। স্বল্প বিনিয়োগ, সহজ ব্যবস্থাপনা, অংশগ্রহণমূলক স্থানীয় সরকার পার্টনারশীপে ‘স্বপ্ন প্যাকেজ’ মডেল প্রাথমিকভাবে একশত উপজেলায় বাস্তবায়নের জন্য ২০২০-২১ অর্থবছরে এক হাজার কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দ দাবি করছি।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘স্বপ্ন প্যাকেজ’ বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার প্রতিফলন। ইতোমধ্যে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় ১০টি উপজেলায় ২০১৫-১৭ অর্থ বছরে ‘স্বপ্ন প্যাকেজ’ কার্যক্রম সফলভাবে বাস্তবায়ন করেছে। ডরপ বাস্তবায়নে সহযোগী ছিল।

(ওএস/এসপি/মে ১৯, ২০২০)