নিউজ ডেস্ক : বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে পটুয়াখালীতে দুইজন নিহত হয়েছেন। বুধবার (২০ মে) সন্ধ্যায় গলাচিপা উপজেলার পানপট্টি এলাকায় ঝড়ো হাওয়ায় গাছের ডাল ভেঙে পড়ে রাসেদ (৬) নামে এক শিশু ও কলাপাড়ায় মানুষকে সচেতন করতে গিয়ে ধানখালীর ছৈলাবুনিয়া এলাকায় খালে নৌকা ডুবে নিখোজঁ শাহ আলম নামে এক স্বেচ্ছাসেবীর মৃত্যু হয়েছে। 

গলাচিপা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম জানান, সন্ধ্যায় গলাচিপা উপজেলার পানপট্টি এলাকায় ঝড়ে গাছের ডাল ভেঙে পড়ে ছয় বছরের শিশু রাসেদ মারা গেছে।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ জানান, কলাপাড়ায় ঘূর্ণিঝড় আম্ফান মোকাবিলায় মানুষকে সচেতন করতে গিয়ে সকালে ধানখালীর ছৈলাবুনিয়া এলাকায় খালে নৌকা ডুবে নিখোজঁ স্বেচ্ছাসেবী শাহআলমের মরদেহ সন্ধ্যায় উদ্ধার করেছে ডুবুরি দল।

এদিকে সুপার সাইক্লোন আম্পানের প্রভাবে দক্ষিণ উপকূল সংলগ্ন সাগরে উচ্চ ঢেউ ও নদীতে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। বাতাসের তীব্রতা বেড়েই চলছে। উচ্চ জোয়ারে নদী-নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৪-৫ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় অর্ধশত চরসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

পটুয়াখালীর সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম শিপন জানান, আশ্রয়কেন্দ্রে আসা মানুষ যেন সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে অবস্থান করে সে ব্যাপারে সচেতন করতে কাজ করছেন স্বাস্থ্য কর্মীরা।

(ওএস/এসপি/মে ২০, ২০২০)