লাইফস্টাইল ডেস্ক : ভাত এবং রুটি আমাদের ডায়েটের প্রধান দুটি প্রধান উপাদান। সেই শৈশবকাল থেকে ভাত ও রুটিতে অভ্যস্ততার কারণে এই দুই খাবারের কোনো একটি ছাড়া আমাদের খাবার সম্পূর্ণ হতে চায় না যেন। কিন্তু যখন ওজন কমানোরে প্রসঙ্গ আসে তখন সবার আগে বাদের তালিকায় এই দুই খাবারের নাম চলে আসে। ভাত ভালো না রুটি- এই নিয়ে প্রচুর মতামত পাবেন। তবে ওজন কমানোর জন্য কোনটা ভালো চলুন জেনে নেয়া যাক-

রুটি এবং ভাতে প্রায় একই পরিমাণ কার্ব এবং ক্যালোরি রয়েছে। পার্থক্যটি পুষ্টিগুণে। ভাতের তুলনায় রুটিতে প্রচুর প্রোটিন এবং ফাইবার থাকে যা আপনাকে আরও দীর্ঘ সময় শক্তি দেয়। ভাতে মাড়ের অংশের কারণে এটি সহজে হজম হয়। তাই ভাত খেলে আপনার খুব তাড়াতাড়ি ক্ষুধা লাগবে।

পুষ্টির মান বিবেচনা করলে এক্ষেত্রে রুটিকেই এগিয়ে রাখতে হয়। তবে সোডিয়ামের বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে। প্রতি ১২০ গ্রাম গমে ৯০ মিলিগ্রাম সোডিয়াম থাকে। তবে চালে কোনো সোডিয়াম থাকে না। সুতরাং, সোডিয়াম এড়াতে চাইলে রুটিও এড়িয়ে চলতে হবে। আর যদি সোডিয়াম নিয়ে সমস্যা না থাকে ওজন কমানোর জন্য রুটিই বিজয়ী।

চালে ফাইবার এবং প্রোটিনের পরিমাণ রুটির চেয়ে কম থাকে। রুটিতে থাকা ফাইবার এবং প্রোটিন আরও বেশি সময় ধরে শরীরে শক্তি জোগাতে সাহায্য করে। ভাতে যদিও ক্যালরির পরিমাণ বেশি তবে তা রুটির মতো আপনাকে শক্তি জোগাবে না।

রুটিতে ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, ফাইবার এবং প্রোটিন রয়েছে। যদিও ভাতে কোনো ক্যালসিয়াম নেই এবং পটাসিয়াম এবং ফসফরাস খুব অল্প রয়েছে। যেহেতু রুটি হজমে বেশি সময় নেয় তাই এটি রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক রাখতেও সহায়তা করে।

রুটি স্বাস্থ্যকর তার মানে কিন্তু এই নয় যে আপনি অনেকগুলো করে খেতে পারবেন। রাতের খাবারে রুটি খেতে চাইলে ঘুমাতে যাওয়ার দুই-তিন ঘণ্টা আগে খাওয়া শেষ করার চেষ্টা করুন।

আপনি যদি ভাত খেতে বেশি পছন্দ করেন তবে সপ্তাহে একদিন বা দুইদিন তা খেতে পারেন। যদি তাতেও মন না ভরে তবে সাদা ভাতের পরিবর্তে লাল চালের ভাত খান।

(ওএস/এসপি/মে ২২, ২০২০)