সঞ্জীব কুমার দাস, কাপাসিয়া (গাজীপুর) : সারাদেশে করোনা ভাইরাসের প্রকোপের কারণে একরকম স্তব্ধতা বিরাজ করছে আমাদের এই বাংলাদেশ। করোনা ভাইরাসের ঝুকির মধ্যে রয়েছে গাজীপুর। ইতোমধ্যে জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে জনপ্রতিনিধিদের চাল চুরি ও ত্রাণ বিতরণের অনিয়মের খবর পাওয়া যাচ্ছে। ঠিক ওই সময় কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোসাঃ ইসমত আরা কাপাসিয়া উপজেলায় ১০ কেজি দরের চাল মাপে কম দেওয়ার অভিযোগে এক ডিলার কে লাখ টাকা জরিমানা ও ডিলারশীপ বাতিল করেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোসাঃ ইসমত আরা উপজেলা চেয়ারম্যান এড.মোঃ আমানত হোসন খান অনন্য স্থাপন করেছেন। তারা প্রতিনিয়ত সাধারণ মানুষকে ঘরে রাখতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। এছাড়া নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে হাঁট বাজারগুলোতে নিয়মিত অভিযান পরিচলনা করছেন। দুস্থ্য ও নিম্নবিত্তদের বাড়িতে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে সেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে।

কাপাসিয়া ত্রাণ নিয়ে কোন জনপ্রতিনিধি দুর্নীতি বা স্বজন প্রীতি করলে ছাড় নেই বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন উপজেলা চেয়ারম্যান এড.মোঃ আমানত হোসেন খান ও ইউএনও মোসাঃ ইসমত আরা। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় আন্তরিকতার সঙ্গে বিরামহীন কাজ করে যাচ্ছেন কাপাসিয়া ইউএনও জনগণকে সচেতন করা, হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করণ, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি নিম্ন আয়ের মানুষের ঘরে ঘরে সরকারি খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিচ্ছেন তারা। ৩৩৩ এর ফোন কল পেলেই তিনি দরিদ্র মানুষদের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিচ্ছেন শুকনো খাবার, চাল, আলু, তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী।

এছাড়াও অভিযান চালিয়ে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১০ টাকা কেজির চাল উদ্ধারসহ অপরাধীদের সাজার আওতায় এনেছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসাঃইসমত আরা জানান, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে মূল চ্যালেঞ্জ হলো হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা। জনগণকে সচেতন করতে তার অফিশিয়াল ফেইসবুক পেজেও বিভিন্ন পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এছাড়া সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতিনিয়ত মাইকিং, লিফলেট ও মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে। পুলিশের সহযোগিতায় মোড়ে মোড়ে অহেতুক আড্ডা বন্ধ করা হচ্ছে। তিনি আরও জানান, কর্মহীন দরিদ্রদের ঘরে খাবার পৌঁছাতে সাধ্যমত চেষ্টা করছেন তিনি।

এছাড়া খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিতরণে অনিয়মসহ বিভিন্ন অনিয়মের খোঁজ রাখতে প্রতিনিয়তই তাকে মাঠে থাকতে হচ্ছে।

আমানত হোসেন খান বলেন, নিজের বিবেকের তারনায় আমি এই দুযোর্গে সাধারন মানুষের কাছে থাকতে চাই। তিনি বনে, আমি এখাকার বেকার মানুষকে কিছু খাদ্য হাতে তুলে দিতে পেরেছি। তিনি এলাকার শীল, মুচি দোকানের কর্মচারী, পত্রিকার হকার সহ বিভিন্ন স্প্রদায়ের মধ্যে ২২ শত প্যাকেট খাদ্য সামগ্রী বিতরন করেন। এ ছাড়া তিনি কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, স্থানীয় বেসরকারী হাসপাতাল, ইউপি চেয়ারম্যান ও স্থানীয় সাংবাদিকদের মাঝে পিপিই, মাস্ক বিতরন করেন।

(এসকেকে/এসপি/মে ২২, ২০২০)