পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি : বরগুনার পাথরঘাটায় করোনা আক্রান্ত এক দোকান মালিক তিনদিন জুতা বিক্রি করেছেন ক্রেতাদের নিকট। এই বেচাকেনার কারনে কতোজন এ উপজেলায় সংক্রামিত হয়েছোন তা নিয়ে চিন্তিত উপজেলা প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ ও স্থানীয় সচেতন নাগরিক সমাজও।

এ ঘটনা কে কেন্দ্র করে পৌর শহরের জুতার দোকান গুলোকে সম্পুর্ন লকডাউন করে দিয়েছে পাথরঘাটা নাগরিক সমাজ। আজ বৃহস্পতিবার সকালে জুতার দোকান এলাকা সম্পূর্ন লকডাউন করে দেয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট জাবির হোসেন।

জাবির হোসেন জানান, লকডাউন শিথিল হওয়ার পর পাথরঘাটার অনেক ব্যবসায়ী ঈদের বেচাকেনা করার জন্য মালামাল আমদানী করার জন্য ঢাকার পাইকারি বাজারে গিয়ে মালামাল ক্রয় করে পাথরঘাটায় ফিরছেন। সেখান থেকে আসা এক দোকান মালিক ইতি মধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এতে করে গোটা উপজেলা প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ সহ সকল জনসাধারণের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এমন অবস্থায় যদি বাজার খোলা থাকে তাহলে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এ উপজেলায় কোন ভাবেই ঠেকানো সম্ভব না।

বনিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অরুণ কর্মকার জানান, করোনার মধ্যে ঢাকা থেকে আসা ব্যক্তিদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত অনেকেই প্রকাশ্যে দোকানে বেচাকেনা করেছেন। যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এদের মধ্যে সংক্রমিত জুতার দোকানের মালিকের নাম ও ছিল। যিনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েও দোকান খোরারেখে ক্রেতাদের নিকট বিক্রি করেছেন।
অরুণ কর্মকার জানান, করোনা পজেটিভ রিপোর্ট আসা দোকান মালিকের থেকে কতজন যে সংক্রমিত হয়েছে তার কোন হিসাব নেই। প্রয়োজনে করোনা প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে আবারো পাথরঘাটা শহর লকডাউনের পক্ষে তিনি মত প্রকাশ করেন।

তবে স্থানীয় জুতার দোকান ব্যাবসায়ীরা জানান, কিছু অতিলোভী ব্যাবসায়ীরা ঈদের বাজারে অতিরিক্ত মুনাফা অর্জন করতে ঢাকায় গিয়ে মালামাল ক্রয় করেছে। এর মধ্যে শুধু জুতা ব্যবসায়ীরাই না। কসমেটিকস গার্মেন্টসের ব্যাবসায়ীরাও রয়েছে। তারা তাদের দোকানগুলোকে লকডাউন দাবি করেন।

উল্লেখ্য, লকডাউন শিথিল হওয়ার পর পাথরঘাটার কিছু ব্যবসায়ী ঈদের বেচাকেনা করার উদ্দেশে ঢাকার পাইকারি বাজারে গিয়ে মালামাল ক্রয় করে মালামাল নিয় পাথরঘাটায় ফিরছেন। এমন খবর পেয়ে পাথরঘাটা বনিক সমিতির পক্ষ থেকে পাথরঘাটা উপজেলা প্রশাসনের কাছে নয় জনের নাম উল্লেখ করে তাদের কোয়ারেইন্টান বাধ্যতামূলক করতে আবেদন করেন। কিন্তু কোয়ারেন্টাইন না মেনে করোনা সংক্রমণ নিয়ে তিন ধরে দোকান পরিচালনা করেন এক ব্যবসায়ী।

(এটি/এসপি/মে ২২, ২০২০)