পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি : বরগুনার পাথরঘাটার বিপনীবিতানে মেয়াদোত্তীর্ন সেমাই রাখার দায়ে ও বিউটি পার্লার খোলা রাখার দায়ে  আজ ২৩মে শনিবার দুপুর পৌনে ১টায় ভ্রাম্যমান আদালত জড়িমানা আদায় করে।

মেয়াদোত্তীর্ন সেমাই রাখার দায়ে পূর্ব বাজারের মো.সাগর মিয়াকে ১ হজার টাকা এবং তার মেয়াদোত্তীর্ন সেমাইয়ের সরবরাহকারি রিফাত স্টোরকে ১হাজার টাকা জড়িমানা করা হয়। এক-ই সময় খায়রুল স্টোরে মেয়াদোত্তীর্ন সেমাই রাখার দায়ে ২ হাজার টাকা জড়িমানা আদায় করা হয় এবং ওই সেমাই গুলো কেরোসীন দিয়ে আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয়।

এর আগে কেজি স্কুল রোডের সাজঘর বিউটি পার্লার খুলে কাজ করার দায়ে ওই পার্রালকে১হাজার টাকা জড়িমানা করা হয় এবং দুই কাস্টমারকে ৪ শ টাকা জড়িমানা করা হয়। এক-ই সময় এফজি বিউটি পার্লারকেও ১হাজার টাকা জড়িমানা করা হয়।

এছাড়াও কসমেটিকস্,মোদি-মনহরী,গার্মেন্টস,জুতা,টেইলার সহ নানা বিপনী বিতানেও অভিযান চালানে হয়।
এদিকে বেলা ১২টার দিকে লকডাউন ঘোষিত জুতাপট্টি করোনা এলাকার আরও একটি দোকান বন্ধ করে দেয়া হয়।

ভোক্তা অধিকার -৯ এর ২০৫১ ধারায় খাদ্যদ্রব্যের ওই বিপনী বিতানগুলোতে জড়িমানা আদায় করেন ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং পাথরঘাটা উপজেলা নির্বহী অফিসার মো.হুমায়ুন কবির। এসময় কোবিট ১৯ করোনা কালিন দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত নৌবাহীনির অফিসার, থানা পুলিশ, সাংবাদিক সহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ভ্রাম্যমান অাদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো.হুমায়ুন কবির বলেন,খাদ্যদ্রব্যে ভ্যাজাল কিংবা মেয়াদোত্তীর্ন কোনো পন্য পাওয়া গেলে কোনো ছাড় নেই।

উল্লেখ্য, মো.হুমায়ুন কবির করোনাকালে পাথরঘাটার সেফটির জন্য যারপর নাই মাঠ পর্যায়ে শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন।

(এটি/এসপি/মে ২৩, ২০২০)