বিনোদন ডেস্ক : বলিউড অভিনেতা নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী ও তার স্ত্রী আলিয়া সিদ্দিকীর (অঞ্জনা কিশোর পাণ্ডে) সংসারে ভাঙনের সুর বাজছে। আলিয়ার আইনজীবীই প্রথম খবরটা জানান। তবে বিচ্ছেদের কারণ বিস্তারিতভাবে বলতে পারবেন না বলে জানিয়েছিলেন আলিয়া।

কিছু দিন আগে নওয়াজের পুরনো প্রেমিকা নীহারিকা সিং অভিযোগ এনেছিলেন, যৌন সম্পর্ক স্থাপনের জন্য জোর করতেন নওয়াজ। ‘মিটু’ আন্দোলনে নওয়াজের বিরুদ্ধে যিনি যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি। তা হলে কি নওয়াজের অন্য সম্পর্কে জড়িয়ে পড়া এবং অবদমিত যৌন তাড়নাই বিবাহ বিচ্ছেদের অন্যতম কারণ? এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল।

নওয়াজের স্ত্রী আলিয়া অবশেষে মুখ খুলেছেন। মুম্বাইয়ের স্পটবয় পত্রিকাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, একটা নয়, নওয়াজের সঙ্গে বিচ্ছেদের হাজারটা কারণ রয়েছে। সারা জীবন সে আমাকে অপমান করে গেছে। ‘গ্যাংস অব ওয়াসিপুর’ ছবির পর হঠাৎ করেই তার নামডাক শুরু হয়। এর পরেই আমার প্রতি ওর আচরণ বদলে যেতে থাকে।

তিনি আরও বলেন, আমরা যখন বিয়ে করে‌ তখন নওয়াজের কিছু ছিল না। আমার টাকায় ঘর ভাড়া নিয়েছিলাম। এখন ওর চারটে বাংলো হয়েছে, কিন্তু একটা সময় কী ছিল ওর? আজ সব ভুলে গেছে নওয়াজ।

আলিয়া বলেন, আমার সন্তানের তখন ছয় মাস বয়স। পাটলিপুত্রতে প্রায় এক বছরের মতো সময় ধরে একা ছিলাম। আমি ওকে বিয়ে করেছিলাম বলে আমার পরিবারও আমার সঙ্গে যোগাযোগ ছিন্ন করে। আমি আর নওয়াজ দুজনেই ভিন্ন ধর্মের। আমার আসল নাম অঞ্জনা কিশোর পাণ্ডে।

তিনি বলেন, আমি বাইরে বের হলেই নওয়াজের নারী বন্ধুরা বাড়িতে ঢুকতো। এ তো গেল আমার কথা। বাবা হিসেবেও কোনো দায়িত্ব পালন করেনি সে। একা একা সন্তানের জন্ম লালন-পালন করেছি। ৩-৪ মাসে একবার ফোন করতো। তাও অফিসের নম্বর থেকে। কিছু বললে বলতো, আউটডোর শুটিংয়ে আছি।

তবে এ বিষয় নিয়ে নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী এখনও মুখ খোলেননি বললেই চলে। তবে তার সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘ঘুমকেতু’-তে ব্যক্তিগত জীবনের কাহিনীর বেশ প্রভাব ফেলেছে‌বলে এক সংবাদমাধ্যমের কাছে নিজেই স্বীকার করেছেন তিনি। আলিয়া ডিভোর্সের নোটিশ পাঠালেও এখন পর্যন্ত তার কোনো জবাব দেননি নওয়াজ।

(ওএস/এসপি/মে ২৫, ২০২০)