স্পোর্টস ডেস্ক : বাংলাদেশ কারাতে ফেডারেশনের নির্বাহী কমিটির সদস্য, সাবেক ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়ন, জাতীয় কারাতে দলের সাবেক এবং বর্তমানে বাংলাদেশ আনসার কারাতে দলের কোচ মো. হুমায়ুন কবির জুয়েল আজ (মঙ্গলবার) সকালে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

মৃত্যৃকালে তার বয়স হয়েছিল ৫২ বছর। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

বাংলাদেশ কারাতে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ক্য শৈ হ্লা জানিয়েছেন, ‘আগেরদিন তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। শারিরীক অসুস্থতার কারণে তার করোনা পরীক্ষা করা হয়েছিল। তবে তখন রেজাল্ট নেগেটিভ এসেছিল। অবস্থার অবনতি হলে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। কিন্তু তাকে বাঁচানো গেলো না। সকাল ৮টার দিকে ইন্তেকাল করেছেন জুয়েল। মারা যাওয়ার পর এখন শুনছি করোনা নাকি পজিটিভ ছিল। কিছু বুঝতে পারছি না।’

হুমায়ুন কবির জুয়েল সত্যিই করোনা পজিটিভ ছিলেন নাকি বোঝাবুঝির ভুল, তা নিয়ে এখনও নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে তিনি শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। এ কারণেই মূলত হাসপাতালে ভর্তির পর কোভিড-১৯ পরীক্ষাও করা হয়েছিল তার।

এ বিষয়ে এসএ গেমসে স্বর্ণপ্রাপ্ত কারাতে মুন খান জানিয়েছেন, ‘প্রচন্ড শ্বাসকস্ট নিয়েই তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। যদিও প্রথম পরীক্ষায় নেগেটিভ এসেছে। আমি এখন হাসপাতালে যাচ্ছি। ওখানে গেলে জানাতে পারব দ্বিতীয় পরীক্ষার রেজাল্ট কী ছিল?’

তিনি বাংলাদেশ কারাতের একজন বড় অভিভাবক ছিলেন। কারাতের কোচদের বলা হয় সেন্সি। সেন্সির মৃত্যুতে কারাতে অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছেন। তিনি কেবল দেশেই নয়, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও বাংলাদেশের কারাতেকে তুলে ধরেছিলেন।

জুয়েল বাংলাদেশের প্রথম ব্যক্তি যিনি এশিয়ান পর্যায়ে জাজের দায়িত্ব পালন করেছেন। বাংলাদেশের যত কারাতের জাজ আছেন আছেন তাদের মধ্যে জুয়েলই সবচেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক খেলা পরিচালনা করেছিলেন।

তিনি এশিয়ান কারাতে ফেডারেশনের জাজ, দক্ষিণ এশিয়ান কারাতে রেফারি অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি এবং বাংলাদেশ কারাতে রেফারি এসোসিয়েশনের কো-চেয়ারম্যান ছিলেন। জুয়েলের স্ত্রী ছেলে-মেয়ে নিয়ে থাকেন যুক্তরাষ্ট্রে। এখানে তিনি ভাইদের সঙ্গে থাকতেন।

(ওএস/এসপি/মে ২৬, ২০২০)