বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটে নতুন করে আরো তিনজন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। করোনা আক্রান্ত এই তিনজনের বাড়ী মোল্লাহাট, চিতলমারী ও শরণখোলা উপজেলায়। নতুন করে তিনজনের করোনা শনাক্তের মধ্যে দিয়ে জেলার শুধু মাত্র মোংলা উপজেলা ছাড়া ৮টি উপজেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাড়ালো ২৩ জনে। এরমধ্যে দুইজন মারা গেলেন। ছয়জন সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। অন্যরা এখন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ এতথ্য নিশ্চিত করেছে।

নতুন করে করোনা আক্রান্তরা হলেন, বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলার আটজুড়ী এলাকার কিশোরী মাসুমা খানম (১৪) ঢাকা থেকে পরিবারের সাথে গোপালগঞ্জে মামা বাড়ী বেড়াতে গিয়ে করোনা উপসর্গ দেখা দিলে টুঙ্গিপাড়া স্বাস্থ্য বিভাগ তার নমুনা সংগ্রহ করে পরিক্ষার জন্য পিসিআর ল্যাবে পাঠায়। এই অবস্থায় সে পরিবারসহ আটজুড়ি গ্রামের বাড়ীতে চলে আসে। গতকাল রাতে আইইডিসিআর থেকে তার করোনা পরিক্ষার রিপোর্ট পজেটিভ আসে। তাকে বাড়ীতে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। রাতেই আক্রান্তের বাড়ীসহ ৪টি বাড়ী লকডাউন করেছে উপজেলা প্রশাসন।

চিতলমারী উপজেলায় নতুন করোনা আক্রান্ত শিহাব কাজীর (৪২) বাড়ী হিজলা গ্রামে। সে কুমিল্লার একটি জুটমিলে কাজ করতেন। গত ২০ মে তিনি কুমিল্লা থেকে গ্রামের বাড়িতে আসলে তার করোনা উপসর্গ থাকায় হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। সেখান থেকে তিনি পালিয়ে পার্শ্ববর্তী গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় এক আত্মীয়র বাড়িতে যান।সেখানে তিনি আরও অসুস্থ হয়ে পড়লে ২৩ মে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ তার নমুনা সংগ্রহ করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে পাঠায়। এরপর সে গ্রামের বাড়ী হিজলায় চলে আসে। করোনা পরিক্ষার রিপোর্ট পজেটিভ বলে আইইডিসিআর থেকে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগকে জানানো হলে রাতেই তার বাড়িসহ আশেপাশের ৪ বাড়ি লকডাউন করে উপজেলা প্রশাসন।

এদিকে শরণখোলায় উপজেলার খোন্তাকাটা গ্রামের আ. সালাম হাওলাদারের ছেলে মালেক হাওলাদার (৩৫)। মালেক হাওলাদার ঢাকা থেকে বাড়ীতে এসে করোনার উপসর্গ নিয়ে শরণখোলা হয়ে হাসপাতালে ভর্তি পর পরীক্ষার জন্য নমুনা পাঠানো হলে গতকাল রাতে আইইডিসিআর থেকে তার করোনা পরিক্ষার রিপোর্ট পজেটিভ আসে। ওই রোগীকে শরণখোলা হাসপাতালের আইসোলেশন সেন্টারে রাখা হয়েছে। তার বাড়ী লকডাউন করেছে উপজেলা প্রশাসন।

বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. কেএম হুমায়ুন কবির এতথ্য নিশ্চিত করে জানান, মোল্লাহাট, চিতলমারী ও শরণখোলা উপজেলায় নতুন কওে আরো তিনজনের করোনা পরিক্ষার রিপোর্ট সোমবার রাতে পজেটিভ এসেছে। নতুন করোনা আক্রান্তদের একজনকে শরণখোলা হাসপাতারের আইসোলেশন সেন্টারে ও অন্য দুইজনকে বাড়ীতে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। নয়টি বাড়ী লকডাউন করা হয়েছে। এদের সংস্পর্শে আরো যারা এসেছে তাদের নমুনা পরীক্ষা করতে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপালের পিসিআর ল্যাবে পাটানো হবে।

(এসএকে/এসপি/মে ২৬, ২০২০)