চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি : পাবনার চাটমোহর উপজেলার গুনাইগাছা ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামে সোমবার ঈদের দিন সন্ধ্যায় গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক কলেজ ছাত্রী (১৬)। 

এক কলেজছাত্রী ও এক কিশোরীকে পথরোধ করে চার নরপশু জোর করে তুলে একটি পাট ক্ষেতে নিয়ে হাত-পা বেঁধে ফেলে। তবে ওই কিশোরী ধর্ষকের হাতে কামড় দিয়ে পালিয়ে গেলেও গণধর্ষণের শিকার হয় ওই কলেজছাত্রী। পরে পালিয়ে গিয়ে ওই কিশোরীর চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে আসে। এরপর পাটক্ষেত থেকে ৩ ধর্ষককে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের সোপর্দ করে। এসময় একজন পালিয়ে যায়।

আটককৃতরা হলেন, উপজেলার চরপাড়া গ্রামের জয়নাল হোসেনের ছেলে শুকুর আলী, মকবুল হোসেনের ছেলে রেজাউল করিম ও শাহজাহান আলীর ছেলে ইসমাইল হোসেন। তাদের সাথে থাকে এরকজন পালিয়ে যায়, তার নাম জানা যায়নি।

খবর পেয়ে মঙ্গলবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান সহকারী পুলিশ সুপার (চাটমোহর সার্কেল) সজীব শাহরীন, থানার ওসি সেখ নাসীর উদ্দিন, ওসি (তদন্ত) হানন্না মাহমুদ টুটুলসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

স্থানীয়রা জানান, ঈদের দিন সোমবার সন্ধ্যায় শারীরিক সমস্যা দেখা দেওয়ায় ওই কলেজ ছাত্রী প্রতিবেশী এক কিশোরীকে সঙ্গে নিয়ে একই এলাকার এক কবিরাজের বাড়ি যান। কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বাড়ির অদূরে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা শুকুর আলীসহ ৪ জন তাদের দু’জনকে একা পেয়ে মুখ চেপে ধরে পাশের একটি পাটক্ষেতে নিয়ে যায়।

এরপর পাটক্ষেতে ওই কলেজ ছাত্রীর হাত-পা বেঁধে পালাক্রমে ধর্ষণ করা হয়। এছাড়া একই কায়দায় সাথে থাকা ওই কিশোরীকেও ধর্ষণ করতে গেলে ধর্ষকের হাতে কামড় দিয়ে সে কোনক্রমে পালিয়ে বাঁচে এবং চিৎকার চেঁচামেচি করে। পরে এলাকাবাসী ওই পাট ক্ষেত ঘিরে ফেলে ৩ জনকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। তবে ধর্ষকদের মধ্যে একজন পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সহকারী পুলিশ সুপার (চাটমোহর সার্কেল) সজীব শাহরীন জানান, এ ঘটনায় থানায় গণধর্ষণের মামলা দায়ের করে আটক ৩ জনকে গ্রেফতার দেখিয়ে জেল হাজতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। ভুক্তভোগী ওই নারীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হবে। এছাড়া পলাতক একজনকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশ অভিযান শুরু করেছে বলে জানান তিনি।

(এস/এসপি/মে ২৬, ২০২০)