স্টাফ রিপোর্টার : করোনাভাইরাসের এই সংকটময় মুহূর্তে বাসের ভাড়া ৮০ শতাংশ বাড়ানোর সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।

ঢাকা জেলার বাস, মিনিবাস, সিটিং সার্ভিসসহ, দূরপাল্লা তথা আন্তঃজেলায় চলাচলকারী সব বাসের ক্ষেত্রে এই ভাড়া বাড়ানোর সুপারিশ করেছে সরকারি সংস্থাটি।

শনিবার বিআরটিএর ব্যয় বিশ্লেষণ কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়। বৈঠকে বিআরটিএর কর্মকর্তা ছাড়াও মালিক ও শ্রমিকদের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে অংশ নেয়া বিআরটিএ পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং) মো. লোকমান হোসেন মোল্লা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে তিনি বিস্তারিত না জানিয়ে বলেন, সুপারিশ মন্ত্রণালয়ে যাবে। সেখানেই হবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।

বৈঠকে অংশ নেয়া বিআরটিএর এক কর্মকর্তা ও দুই পরিবহন নেতা জানান, করোনা থেকে সুরক্ষায় প্রতিটি বাসের প্রতি সারিতে একটি করে আসনে বসবেন যাত্রী। অর্থাৎ অর্ধেক সংখ্যক যাত্রী বহন করতে পারবে প্রতিটি বাস। পর্যাপ্ত সুরক্ষাসামগ্রী ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে। সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত সুপারিশ আকারে আজই মন্ত্রণালয়ে পৌঁছাবে। সেখান থেকেই আসবে চূড়ান্ত নির্দেশনা।

উল্লেখ্য, আজ শনিবার (৩০ মে) শেষ হচ্ছে করোনাভাইরাসের কারণে সরকার ঘোষিত টানা ৬৬ দিনের ছুটি। এটিই দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে লম্বা ছুটি। এ ছুটির অবসানের ফলে ৩১ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত সরকারি নির্দেশনা সাপেক্ষে সীমিত পরিসরে সরকারি-বেসরকারি অফিস খুলছে। একইসঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নামছে গণপরিবহনও (বাস, লঞ্চ, ট্রেন)।

১৫ জুন পর্যন্ত অফিস, গণপরিবহনসহ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড কীভাবে পরিচালিত হবে এবং কোন ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে, সেই বিষয়ে নির্দেশনা দিয়ে গত বৃহস্পতিবার (২৮ মে) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

অফিস খোলার বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এক আদেশে বলেছে, ৩১ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত অফিস নিজ ব্যবস্থাপনায় সীমিত পরিসরে খোলা থাকবে। ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তি, অসুস্থ কর্মচারী এবং সন্তানসম্ভবা নারীরা কর্মস্থলে উপস্থিত হওয়া থেকে বিরত থাকবেন।

বন্ধ থাকা বাস, লঞ্চ, ট্রেন চালুর নির্দেশনা দিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রজ্ঞাপনে জানিয়েছে, শর্ত সাপেক্ষে সীমিত পরিসরে নির্দিষ্ট সংখ্যক যাত্রী নিয়ে স্বাস্থ্যসম্মত বিধিনিষেধ নিশ্চিত করে গণপরিবহন, যাত্রীবাহী নৌযান ও রেল চলাচল করতে পারবে। তবে সর্বাবস্থায় মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের জারি করা নির্দেশনা কঠোরভাবে মেনে চলা নিশ্চিত করতে হবে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগ এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করবে।

সড়কে গণপরিবহন চালাচলের বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতর ১৩টি কারিগরি নির্দেশনা দিয়েছে। অপরদিকে যাত্রীবাহী নৌযান ও রেল চলাচলের বিষয়ে ১৪টি করে ও বিমান চলাচলের বিষয়ে ১০টি কারিগরি নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

(ওএস/এসপি/মে ৩০, ২০২০)