স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপির সরকার বিরোধী আন্দোলনে অর্থ যোগানদাতারা বিশেষ গোয়েন্দা নজরদারিতে রয়েছেন।

বিএনপি-জামায়াত সমর্থক ব্যবসায়ী ও বিএনপি'র শীর্ষ পর্যায়ের বেশ কয়েকজনসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতারা একাধিক গোয়েন্দা নজরদারিতে রয়েছেন। সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, ঈদের পরে বিএনপির সরকার বিরোধী আন্দোলনের ঘোষণার পরপরই উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে গোয়েন্দারা আন্দোলনের নেপথ্যে অর্থের যোগানদাতা কারা, তাদের খোঁজে বের করে কড়া নজরদারিতে রাখা হয়েছে। তাদের আন্দোলনের ধরন কি রকম হতে পারে, তারও খোঁজ খবর রাখছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, বন্দর নগরী চট্টগ্রামে আন্দোলনে অর্থের যোগান দেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এমন অন্তত: ২০ জনের নাম উঠে এসেছে।

ওই সব ব্যক্তির দৈনিক কর্মকাণ্ডের প্রতিও নজর রাখা হচ্ছে বলে সূত্র দাবি করছে। এরা কোথায় যাচ্ছেন, কার সঙ্গে বৈঠক করছেন কিংবা কোথাও গোপন আলোচনা করছেন কিনা এসব বিষয়ের প্রতিও খেয়াল রাখা হচ্ছে।

সূত্র জানায়, বিএনপি নেতাদের নিজস্ব এলাকায় কোন অনুষ্ঠানের নামে চাঁদা সংগ্রহ করছেন কিনা সে বিষয়েও খোঁজ খবর রাখছেন।

সিএমপি'র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বনজ কুমার মজুমদার বলেন, এলাকায় আইন-শৃংখলা রক্ষায় পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে। কেউ আইন-শৃংখলার অবনতি ঘটাতে চাইলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এদিকে, সিএমপি'র এক উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, সহিংস যে কোনও ঘটনা মোকাবেলায় পুলিশ প্রয়োজনে কঠোর হবে।

গত ৫ জানুয়ারি দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করে আওয়ামী লীগ সরকার। সেই নির্বাচনের পর ফের সরকার গঠন করে মহাজোট।

নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দেওয়ার দাবি না মানায় নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি। মহাজোট সরকারের শরিক জাতীয় পার্টি বিরোধী দলের মর্যাদা পায়। বিরোধী দলীয় নেতা হন রওশন এরশাদ। তাদের মন্ত্রিত্ব দিয়ে সরকারেরও অংশীদারিত্ব দেয়া হয়। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদকে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত করা হয়।

সরকার গঠনের পর প্রথম ছয়মাস কোন ধরনের কর্মসূচি ঘোষণা না করলেও ঈদের পর থেকে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার ঘোষণা দেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। সেই থেকে বিএনপি নেতারা বিভিন্ন সভা-সমাবেশে আন্দোলনে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়ে বক্তব্য দিয়ে আসছেন।

তবে এখনো পর্যন্ত আন্দোলনের দিনক্ষণ ঘোষণা করতে পারেনি বিএনপি। অন্যদিকে বিএনপির আন্দোলন হুমকিকে আমলে নিচ্ছেন না বলে আওয়ামী লীগ নেতারা এমন বক্তব্য দিয়ে আসছেন।

(ওএস/এটিআর/আগস্ট ১২, ২০১৪)