আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : করোনা মোকাবেলায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে ও কর্মহীন হয়ে পড়া লোকজনের বিদ্যুৎ বিলের জরিমানা মওকুফ, প্রধানমন্ত্রীর এমন সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আগৈলঝাড়ায় বকেয়া বিদ্যুৎ বিলে জরিমানাসহ আদায় করাকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ করেছে বিল প্রদান করতে আসা শতাধিক গ্রাহক। বিল আদায় কারীদের উদাসীনতার কারনে বিদ্যুৎ বিলে রাজস্ব না সংযোগ না করায় সরকার হারাচ্ছে বিপুল পরিমান রাজস্ব। 

বরিশাল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর আওতাধীন আগৈলঝাড়া পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের গ্রাহকেরা সোমবার সকালে বিদ্যুৎ অফিসের নির্ধারিত স্থান জোবারপার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিদ্যুৎ বিল প্রদান করতে যান। বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে বিল আদায় করছিলেন কর্মকর্তারা।

আবাসিক ও বাণিজ্যিক বিদ্যুৎ বিলের গ্রাহকেরা বিদ্যুৎ বিলের টাকা জমা দিতে গিয়ে জরিমানাসহ আদায় করতে দেখে আদায়কারীদের সাথে গ্রাহকের বাকবিতন্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে বিক্ষুব্ধ গ্রাহকেরা সরকারী নির্দেশ অমান্য করে বিদ্যুৎ বিল আদায়ের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন শুরু করেন।

এসময় গ্রাহকেরা কোন রকম জরিমানা ছাড়া বিল প্রদান সুবিধা দেয়া না পর্যন্ত কোন বিল প্রদান করবে না মর্মে বিল প্রদান করা থেকে বিরত থাকেন।

পরে পল্লী বিদ্যুতের উর্ধতন কর্তৃপক্ষ নির্দেশে কোন রকমের জরিমানা ব্যতীত বিদ্যুৎ বিল প্রদানের সিদ্ধান্ত জানানোর পরে পরিস্থিতি শান্ত হলে বিল প্রদান করেন গ্রাহকেরা।

আগৈলঝাড়া পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. হযরত আলী বলেন, পূর্বে বানিজ্যিক গ্রাহকদের কাছ থেকে জরিমানা ছাড়া বিল আদায়ের কোন নির্দেশনা ছিল না। আবাসিক গ্রাহকেরা চলতি বছরের ফেব্রুয়ারী, মাচর্, এপ্রিল ও মে মাসের বিল জরিমানা ছাড়া প্রদানের সিদ্ধান্ত ছিল। আবাসিক গ্রাহকেতরা জরিমানা ছাড়াই বিল প্রদান করছিলেন।

তিনি আরও বলেন, সোমবার দুপুরে ভিডিও কনফারেন্সে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের প্রেস বিফিং ফেব্রুয়ারী, মার্চ ও এপ্রিল মাসের বিল জরিমানা ছাড়া গ্রহনের সিদ্ধান্ত প্রদান করলে গ্রাহকের কাছ থেকে তিন মাসের কোন বকেয়া বিলে জরিমানা ছাড়া আদায় কার্যক্রম করা হয়।

রেভিনিউ আদায়ের ব্যাপারে তিনি বলেন, জন সমাগমের ভীড়ের মধ্যে হয়তো বিষয়টি লক্ষ করা হয়নি। তবে বিদ্যুৎ অফিস ও ব্যাংকে বিলগুলো রাজস্ব লাগানো হয়। বিলে সরকারের রাজস্ব আদায়ের ব্যাপারে সবাইকে আরও সতর্ক হবার নির্দেশনা প্রদান করবেন বলেও জানান তিনি।

(টিবি/এসপি/জুন ০১, ২০২০)