সুবর্ণচর প্রতিনিধি : নোয়াখালী সুবর্ণচরে প্রভাব খাটিয়ে প্রকাশ্য দিবালোকে ভুমি দখলের অভিযোগ উঠেছে এক কথিত নেতার বিরুদ্ধে। পুলিশের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই প্রকাশ্য ভূমি দখলের লোমহর্ষক বর্ণনা দেন ভুক্তভোগি বৃদ্ধ নিজাম উদ্দিন (৬০)।

ঘটনাটি ঘটে নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার ৩ নং চরক্লার্ক ইউনিয়নের চরক্লার্ক গ্রামের ৪ নং ওয়ার্ডে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যর সৃস্টি হয়েছে।

ভুক্তভোগি চরবাটা গ্রামের মৃত মৌলভী মোঃ ইসমাইলের পুত্র বৃদ্ধ নিজাম উদ্দিন বলেন, ২৬৪ নং চরক্লার্ক মৌজার ৫৫২ নং খতিয়ানের ১৫১৮ নং দাগে ১ একর ৭৮ তার মালিকানা জমি রয়েছে জমির পিছনে অভিযুক্তদের বাড়ী। বাড়ীর জন্য তাদের চলাচলের জন্য প্রর্যাপ্ত জায়গা থাকার পরেও তারা আমার জমির মাঝখান দিয়ে প্রায় ৫০০ ফিট লাম্বা এবং ১০ ফিট চওড়া করে রাস্তা তৈরী করে পেলে চরক্লার্ক ইউনিয়নের চরক্লার্ক গ্রামের মৃত বাদশা মিয়ার পুত্র মাঈন উদ্দিন খোকন(৪০), মামুন মিয়া (৩৮), রহিম(৩৫), নিজাম(৩১), নাসির(২৭) প্রকাশ্য দিবালোকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে তার জায়গাতে রাস্তা নির্মাণ করে পেলে। ঘটনাটি চরজব্বার থানায় অবহিত করা হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাজ বন্ধ করে দেন, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে চলে যাবার পর আবারো তারা রাস্তা নির্মাণের কাজ শুরু করে। পূনরায় আবারো পুলিশকে অবহিত করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধ করে দেন। পুলিশ চলে আসার পর আগের মতই রাস্তা নির্মাণ করে পেলে। রাস্তা নির্মানের ফলে জমিতে বড় বড় গর্তের কারনে তার ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।

পুলিশের বাঁধার পরেও প্রকাশ্য জোর পূর্বক ভুমি দলের ফলে এলাকার মানুষের মাঝে ভয় এবং ক্ষোভের সৃস্টি হয়।

এলাকাবাসী বলেন, প্রকাশ্য দিবালোকে এমন জবর দখল আমরা কখনো দেখিনি। এরকম করতে থাকলে এলাকাটি একদিন মগেরমুলুক পরিনত হবে। তারা দোষীদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির দাবীও জানান।

স্থানীয় ইউপি সদস্য সিরাজ বলেন, এমন জগণ্যতম ন্যাক্কার জনক ঘটনা আমরা এর আগে দেখিনি, আমরা চাই সুষ্ঠো তদন্ত পূর্বক দোষিদের শাস্তি হোক।

অভিযুক্ত মামুন রাস্তা নির্মাণের কথা স্বীকার করে বলেন, জায়গাটি আমাদের প্রয়োজন ছিল তাই নিলাম তবে আমরা জমির মালিকের সাথে সম্নয় করে নিবো। 'কারো অনুমতি ছাড়া কিংবা জমির মালিকের কাছ থেকে জমি না কিনে বাহুবল দেখিয়ে জায়গা দখল করা যায় কিনা'? এমন প্রশ্নে জবাবে তিনি কোন উত্তর দিতে পারেননি।

ভুক্তভোগি নিজাম ন্যায় বিচারের জন্য সংশ্লিষ্ঠ প্রশাসন সহ নোয়াখালী৪ এর মাননীয় সংসদসদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন।

চরজব্বার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাহেদ উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দিলেও তারা তা অমান্য করে কাজ করতে থাকে পূনরায় আবারো পুলিশ পাঠিয়ে কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ভুক্তভোগিদের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে এই মর্মে কোর্টে একটি প্রসিকিউশন পাঠানো হয়েছে।

(ওএস/এসপি/জুন ০২, ২০২০)