ছাদেকুল ইসলাম রুবেল, গাইবান্ধা : গাইবান্ধা জেলার উপর দিয়ে বয়ে গেছে তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, কাটাখালী, ঘাঘট, বাঙ্গালী, করতোয়া, আলাইসহ কয়েকটি নদ-নদী। প্রতি বছর প্রাকৃতিক দুর্যোগে নদীগুলো জেলার মানুষের গলার কাটা হয়ে দাঁড়ায়। গত ১৫ দিন আগেও নদীবেষ্টিত বেশির ভাগ চরাঞ্চল ছিল ধু ধু মরুভূমির মতো। এখন নদীগুলোতে পানি বৃদ্ধির ফলে জেলার প্রায় ৩৫টি পয়েন্টে নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙন প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ, সদর, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার প্রায় ৩৫টি পয়েন্টে নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তিস্তা নদীবেষ্টিত বেলকা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় নদী ভাঙন শুরু হয়েছে। এ উপজেলার ১০টি পয়েন্টে গত দুই মাস ধরে নদী ভাঙনের ফলে শতাধিক বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।

বেলকা ইউনিয়নের আব্দুল মালেক জানান, ভাঙন প্রতিরোধে নাম মাত্র বালুভর্তি ব্যাগ ফেলানো হয় আর সান্তনা দেয়া হয় । এভাবে নদী ভাঙনের ফলে আমরা দিশেহারা হয়ে পড়েছি।

গাইবান্ধা সদর উপজেলার কামারজানী ইউনিয়েনের পাঁচটি পয়েন্টে নদী ভাঙন শুরু হয়েছে । ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে ব্রহ্মপুত্র নদে হঠাৎ পানি বৃদ্ধির ফলে এই ভাঙন দেখা দিয়েছে। তবে ভাঙন প্রতিরোধে এখনও পানি উন্নয়ন বোর্ড কোনো কাজ শুরু করেনি।

কামারজানী ইউনিয়নের যুবক শামীম মিয়া জানান, কামারজানী ইউনিয়নে গত ২ বছরে সরকারি স্কুল, মসজিদ, মাদরাসাসহ কয়েক হাজার পরিবারের বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। সরকার যদি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নেয় আগামীতে এই ইউনিয়নটি সম্পূর্ণ নদীগর্ভে বিলীন হবে।

(এস/এসপি/জুন ০৩, ২০২০)