রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার পারুলিয়া  বাসস্টাণ্ডের ব্যবসায়ি তপন বিশ্বাসের গুদামঘর সংলগ্ন জায়গা দখল করে জোরপূর্বক চায়ের দোকান স্থাপনের অভিযোগ উঠেছে। ক্ষতাসীন দলের কয়েকজনের সহায়তায় দক্ষিণ পারুলিয়ার মৃত নূর আহম্মেদ পুটুর ছেলে রুবেল, রাসেল এ জবরদখলে অংশ নেন। প্রতিবাদ করায় লাঞ্ছিত হয়েছেন তপন বিশ্বাসসহ তার পরিবারের চার সদস্য।

তপন বিশ্বাস জানান, একই এলাকার আবুল হোসেন তার কাছ থেকে ১৯৯৭ সালে জমি কিনে বুঝে পাওয়ার পরও নতুন করে জমি দাবি কওে দায়েরকৃত মামলায় ২০১৭ সালের ১৫ নভেম্বর আদালত ওই জমির উপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দেয়। ওই আদেশের বিরুদ্ধে মহামান্য হাইকোর্টে আপিল করলে ২০১৭ সালের ১৩ ডিসেম্বর উচ্চ আদালত নিম্ন আদালতের আদেশের উপর স্থিতাবস্থা জারির নির্দেশ দেয়। পরদিন মিজানুর রহমান মিন্নুর, নূর আমিন, শেখ আবুল হোসেন, মেহেদী হাসান উত্তম, রুবেল, খায়রুলসহ কয়েকজন ওই গুদাম ঘরের সামনে লাগানো ‘এনসিসি ব্যাংক পারুলিয়া শাখায় দায়বদ্ধ’ সাইনবোর্ডটি তুলে ফেলে দিয়ে তার পাশে পলাশ এন্টারপ্রাইজের সাইন বোর্ড লাগিয়ে দেয়। একই সাথে ওই গুদামের মালিক আবুল হোসেন বলে টিনের উপর লিখে দেয়ালে সেটে দেওয়া হয়।

এ ঘটনায় তিনি ১৪ ডিসেম্বর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। এরপরও পুলিশের সহায়তায় আবুল হোসেন ও তার লোকজন ১৬ ডিসেম্বর দুপুরে গুদাম ঘরের পাশের কিছু খালি যা এক সময় নূর আহম্মেদ পুটুর কাছে তার ভাড়া দেওয়আ ছিল সেই জায়গা দখল করে টিনের চাল বানিয়ে রুবেলকে দিয়ে চায়ের দোকান বসায়। তবে ২০১৮ সালের ৪ আগষ্ট তৎকালিন পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান ও দেবহাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ মান্নান আলীর সহায়তায় তিনি তার গুদামঘর ও রুবেলের দখলকৃত জায়গা ফিরে পান।

তপন বিশ্বাস আরো জানান, ২০১৭ সালেল ১৪ ডিসেম্বর থানায় দায়ের করা অভিযোগটি নন এফআইর মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়। পরবর্তীতে ওই মামলার কার্যক্রস্থগিত রেখে স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করে নেওয়ার জন্য তার কাছে বারবার অনুরোধ করেন দেবহাটা থানার পুলিশ পরিদর্শক উজ্জ্বল মিত্র। তিনি ওই পুলিশ কর্মকর্তার কথামত কাজ করলেও গত বৃহষ্পতিবার ওই নন জিআর মামলার আসামী রুবেল, তার ভাই যুবলীগ নেতা রাসেল ও তাদেও চাচাত ভাই আশরাফুলসহ কয়েকজন স্থানীয় কতিপয় আওয়ামীূ লীগ নেতার সহযোগতিায় তার গুদামঘরের পাশের খালি জায়গা দখল করে সেখানে চায়ের দোকান বসায়। বাধা দেওয়ায তাকে, তার স্ত্রী, ছেলে ও পুত্রবধুকে লাঞ্ছিত করে রুবেল, রাসেল, আশরাফুলসহ কয়েকজন। বিষয়টি নিয়ে পরদিন থানায় বসাবসি হলেও পুলিশ কোন সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি। একপর্যায়ে আদালতের শরনাপন্ন হতে বলা হয়।

জানতে চাইলে রুবেল হোসেন বলেন, তারা ওই জায়গা আবুল হোসেনের কাছ থেকে লিজ নিয়েছেন।

দেবহাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিপ্লব কার্তি সাহা বলেন, জমি জায়গা নিয়ে সমস্যা দেখা দিলে আদালতে যেতে বলা ছাড়া তার কাছে কোন পরামর্শ নেই।

(আরকে/এসপি/জুন ০৩, ২০২০)