ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি : পরকীয়ায় আক্রান্ত যৌতুক লোভী স্বামী লিয়াকত আলী চৌধুরী কাজলের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ দিয়েছেন শিক্ষিকা স্ত্রী। 

অভিযোগে জানান, পরনারীতে আসক্ত হয়ে বেশ কয়েক বছর ধরে তাকে নানা ভাবে অত্যাচার উৎপীড়ন করে আসছিলেন যৌতুক লোভী স্বামী। অবশেষে অতিষ্ঠ হয়ে গত বুধবার সন্ধ্যার আগে কেন্দুয়া থানা অফিসার ইনচার্জ বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন। লিয়াকত আলী চৌধুরী কাজল কেন্দুয়া উপজেলার দুল্লী গ্রামের আব্দুল জব্বার চৌধুরীর ছেলে। তার স্ত্রী গন্ডা ইউনিয়নের পাহাড়পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা।

নির্যাতিত শিক্ষিকা তার অভিযোগে বলেন, প্রায় ১২ বছর ধরে তার স্বামী তাকে ভরন পোষন করেন না। উল্টো শিক্ষিকার বেতনের টাকা উঠানোর পর জোর করে প্রতি মাসে নিয়ে যায়। ১ কন্যা ও ১ ছেলে সন্তান নিয়ে নানান যন্ত্রনার মধ্যে সংসার টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করে আসছিলেন শিক্ষিকা। কিন্তু পরনারীতে আসক্ত হয়ে পরিবারের সদস্যদের উপর লিয়াকত আলী চৌধুরী কাজলের অত্যাচার উৎপীড়ন দিন দিনই বেড়ে চলছিল।

শিক্ষিকা স্ত্রী জানান, তার পরকিয়া কাজে বাধা দিলেই বেপরোয়া হয়ে পরিবারের সকল সদস্যদের মারপিট করে। গত ০৩ জুন বুধবার শিক্ষিকাকে মারপিট শুরু করলে তার কন্যা এসে বাধা দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে লিয়াকত আলী চৌধুরী কাজল নিজের কন্যাকেও চুলের মুঠি ধরে মাটিতে ফেলে দিয়ে কিল ঘুষি মারতে থাকে। মা মেয়ের আর্ত চিৎকারে প্রতিবেশিরা তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে পাঠায়। প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়ার পর কেন্দুয়া থানায় উপস্থিত হয়ে যৌতুক লোভী পরকিয়ায় আক্রান্ত স্বামীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেন শিক্ষিকা স্ত্রী।

এ অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান বলেন, লিয়াকত আলী চৌধুরী কাজলের বিরুদ্ধে তার শিক্ষিকা স্ত্রী লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগে পরকিয়ায় আক্রান্ত হয়ে যৌতুকের জন্য নির্যাতনের কথা তুলে ধরা হয়েছে। আমরা অভিযোগটির তদন্ত করছি। শিক্ষিকা স্ত্রী চাইলে অভিযোগটি মামলা আকারে থানায় রেকর্ড করা হবে।

এদিকে উপজেলা নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সাধারন সম্পাদক কল্যানী হাসান এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক শাস্তি দাবী করেন। এ ব্যাপারে লিয়াকত আলী চৌধুরীর সঙ্গে মুঠোফোনে (০১৭১৯৩১১৮৮৩) যোগাযোগ করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

(এসবি/এসপি/জুন ০৪, ২০২০)