নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালী সুবর্ণচরে জায়গাজমি সংক্রান্ত বিষয়কে কেন্দ্র করে তিন মাসের আন্তঃসত্ত্বা নারী ও তার স্বামীকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে এসময় হামলাকারিরা বাড়ী ঘর ভাংচুর করে এবং লুটপাট চালায়।  খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে চরজব্বার থানা পুলিশ।

ঘটনাটি ঘটে (২জুন) মঙ্গলবার সুবর্ণচর উপজেলার চরক্লার্ক ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ চরক্লার্ক গ্রামে।

ভুক্তভোগী সুবর্ণচর উপজেলার চরক্লার্ক ইউনিয়নের দক্ষিণ চরক্লার্ক গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে ইসরাফিল (৩৮) ও তার স্ত্রী আকলিমা বেগম অভিযোগ করে বলেন, ১ বছর আগে চরআমান উল্যাহ ইউনিয়নের নোয়াপাড়া গ্রামে আমিন উল্যাহ থেকে ৩ লক্ষ্য ২০ হাজার টাকা দিয়ে নোয়াপাড়া ১১৮৪ মৌজায় ৫০ শতাংশ জমি কিনেন। একই মৌজায় ৭৫ শতাংশ জমি কিনেন চরক্লার্ক ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড মেম্বার আসাদল হক ওরপে আসাদর হক মেম্বার।

ভুক্তভোগী ইসরাফিল জমি কেনার ২ মাস পর জমি চাষ করতে গেলে আসাদল মেম্বার ও তার পুত্ররা ইসরাফিলকে মারধর করে পুরো একটি বছর একাধিকবার শালিস বিচার হওয়ার পরও আসাদ মেম্বার আইন অমান্য করে জমি দখল করে রাখে।

২ জুন মঙ্গলবার সকালে ইসরাফিল তার জমি চাষ করতে গেলে আবারো অভিযুক্তরা বাঁধা দেন।

জমিতে যাওয়ার কথা শুনে চরক্লার্ক ইউনিয়নের দক্ষিণ চরক্লার্ক গ্রামের বর্তমানে ৭নং ওয়ার্ড মেম্বার আসাদল হকের পুত্র আব্দুল আলিম (৩২), বোরহান উদ্দিন (২৯), সাহাব উদ্দিন(৩৬) একই গ্রামের ফজলুল হকের পুত্র এসহাক প্রকাশ খোকন(৩৯), আব্দুল জলিলের পুত্র অলি উদ্দিন (৩০), রহমত উল্যার পুত্র সবুজ (২৫), ছানা উল্যার পুত্র ফারুকসহ অজ্ঞাত ২৫/৩০ জনের ভাড়াটিয়া লাঠিয়াল বাহিনী ২ জুন রাত সাড়ে ১১টায় ইসরাফিলের বাড়ীতে হামলা চালায় এবং ইসরাফিলকে মারধর করে ইসরাফিলকে বাঁচাতে তার আন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী এগিয়ে এলে তাকেও এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করে। এসময় উপরোক্ত অভিযুক্তরা বাড়ি ঘর ভাংচুর করে ঘরে লুটপাট চালিয়ে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে চলে যায়।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে চরজব্বার থানা পুলিশ।

আগতরা বর্তমানে নোয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ৩ নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধিন আছেন।
আকলিমা আক্তারের দাবী আব্দুল আলিম তাকে এলোপাতাড়ি পেটানোর ফলে তার তিন মাসের অনাগত সন্তান নষ্ট হয়ে যায়।

এলাকাবাসী বলেন, আসাদল হক মেম্বার হবার পর থেকে তার ছেলেরা এলাকায় নানা অনিয়ম করে যাচ্ছে, বিদ্যুত দেয়ার নাম করে অসহায় পরিবারের কাছ থেকে টাকা আদায়, ছিনতাই চাঁদাবাজিসহ রয়েছে একাধিক অভিযোগ।

অভিযুক্ত আব্দুল আলিমের কাছে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এসব বিষয়ে কথা বলতে রাজি নয় বলে ফোন কেটে দেন পরে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি।

জমি বিক্রেতা আমিন উল্যাহ বলেন, আমি ইসরাফিলকে জমি বুঝিয়ে দিয়েছি কিন্তু আসাদ মেম্বারের ছেলেরা অন্যায় ভাবে জমি দখলের জন্য বার বার ইসরাফিলকে মারধর করছে। এটা ইসরাফিলের ওপর অন্যায় হচ্ছে, এখন আমার তো কিছু করার নেই।

চরজব্বার থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) সাহেদ উদ্দিন বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ পাঠানো হয়েছে, তবে এখনো ভুক্তভোগি লিখিত অভিযোগ করেনি, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ ঘটনায় ইসরাফিল একটি মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান। এবং সংশ্লিষ্ঠ প্রশাসনসহ নোয়াখালী ৪ এর সংসদসদস্য একরামুল করিম চৌধুরী এমপির সুদৃষ্টি আকর্ষণ করছেন।

(ওএস/এসপি/জুন ০৪, ২০২০)