লাইফস্টাইল ডেস্ক : গ্রীষ্ম মানেই নানারকম ফলের সমাহার। বাজারে মিলছে হরেক রকম ফল। এই গরমে প্রশান্তি দিতে এগুলো বেশ কার্যকরী। নানা স্বাদ, নানা রঙে জুড়ায় চোখ আর মন। পুষ্টি পাওয়া যায় যথেষ্ট। ঠান্ডা একগ্লাস তরমুজের রস কিংবা জামের শরবত মুহূর্তেই জুড়াবে প্রাণ।

ফল দিয়ে তৈরি করা যায় নানা স্বাদের স্মুদি। সুস্বাদু এই পানীয় তৈরিতে অনেকরকম ফল ব্যবহার করা গেলেও আম কিংবা কলার তৈরি স্মুদি বেশিরভাগের কাছে প্রিয়। এগুলো আমাদের শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী। ফাইবারে পরিপূর্ণ হওয়ার কারণে দীর্ঘ সময় পেট ভরিয়ে রাখতে পারে আম কিংবা কলার স্মুদি। তার আগে জেনে নিন কোন ফলে কতটা ক্যালোরি রয়েছে।

আম

ফলের রাজা হিসাবে পরিচিত গ্রীষ্মের একটি জনপ্রিয় ফল হলো আম। ভিটামিন কে, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, পটাসিয়াম এবং ফোলেটে ভরা ফলটি বিশ্বজুড়ে অত্যন্ত জনপ্রিয়।

১৬৫ গ্রাম কাটা আমের মধ্যে রয়েছে:
৯৯ ক্যালোরি
প্রোটিন ১.৪ গ্রাম
চর্বি ০.৬ গ্রাম
২৪.৭ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট
চিনি ২২.৫ গ্রাম
ফাইবার ২.৬৪ গ্রাম।

আমের উপকারিতা

আমে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পুষ্টি থাকে যা আপনার কোষগুলোকে ফ্রি র্যাডিক্যালের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে এবং আপনাকে সুস্থ রাখে। ২০১৪ সালের একটি জাপানি সমীক্ষায় বলা হয়েছে যে, আম খেলে তা কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস করতে পারে। এছাড়া ফলটি হার্টের স্বাস্থ্য, ত্বক এবং চুলের জন্য ভালো।

কলা

কলা ফাইবার, পটাসিয়াম, ভিটামিন বি ৬, ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইটোনিউট্রিয়েন্টগুলির উৎস। এটি কাঁচা এবং পাকা উভয়ভাবেই খাওয়া হয়।

১০০ গ্রাম কাটা কলায় রয়েছে:

৮৯ ক্যালোরি
১.১ গ্রাম প্রোটিন
২২.৮ গ্রাম কার্বস
১২.২ গ্রাম চিনি
২.৬ গ্রাম ফাইবার
০.৩ গ্রাম ফ্যাট।

কলার উপকারিতা:

ডায়েরিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় কলা বেশ কার্যকরী একটি ফল। এতে ফাইবার রয়েছে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়তা করে। এটি অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ার জন্যও উপকারী। কলায় পটাসিয়ামের পরিমাণও বেশি, এটি একটি খনিজ যা হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

কলার স্মুদি ভালো নাকি আমের ?

একগ্লাস আমের স্মুদিতে ১৭০ ক্যালরি থাকে এবং চিনির সাথে ক্যালোরির সংখ্যা ২৫০ পর্যন্ত পৌঁছে যায়। তবে কলার ক্ষেত্রে কেবল ১৫০ ক্যালরি থাকে এবং চিনি সহ এটি হয় ২২০।

দুটো ফলই মিষ্টি স্বাদের। সুতরাং চিনি না মেশালেও খেতে সুস্বাদু লাগবে। উভয়ই অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর এবং পুষ্টিকর ফল। সুতরাং যেকোনোটিই আপনার ডায়েটের অংশ হতে পারে।

কীভাবে আরও স্বাস্থ্যকর করবেন

স্মুদি আরও স্বাস্থ্যকর করতে পারেন যেভাবে:

* বাড়িতেই স্মুদি তৈরি করে খান।

* এর জন্য কেবল স্কিমড মিল্ক ব্যবহার করুন।

* পরিশোধিত চিনি এড়িয়ে চলুন (এক চামচ ম্যাপেল সিরাপ বা মধু যোগ করতে পারেন)।

* এর উপরে কিছু বাদাম ছিটিয়ে দিন।

(ওএস/এসপি/জুন ০৫, ২০২০)