কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর কলাপাড়া পৌরশহরের বাজার ঘেষা নাইয়াপট্রি এলাকায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে পারভেজ (৩০) এক ঢাকা ফেরত বই বিক্রেতার মৃত্যু হলেও মঙ্গলবার পৌর শহরে ছিলো হাজারো মানুষের ভীড়। নাইয়াপট্রি ও রহমতপুর এলাকার কিছু অংশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সোমবার রাতে লকডাউন করে দেওয়া হলেও মানুষের জীবনযাত্রা ছিলো স্বাভাবিক। প্রশাসন শহরে মানুষ মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক ও সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে মাইকিং করলেও বাস্তব চিত্র ছিলো উল্টো।

মঙ্গলবার সাপ্তাহিক হাটের দিনে কলাপাড়া পৌর শহরে অন্তত তিন সহস্রাধিক ব্যবসায়ী শহরের প্রধান প্রধান সড়কে দোকান খুলে বসে। এসব দোকানে বিক্রেতা ও ক্রেতাদের ছিলো না কোন ধরনের শারিরীক দূরত্ব ও মাস্ক পরিধানের বালাই। বাজারে অন্তত অর্ধ লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হওয়ায় শহর জুড়ে সৃষ্টি হয় যান ও মানবজটের। এসব নিয়ন্ত্রনে প্রশাসনের ছিলো না কোন তদারকি।

গত সোমবার রাতে কলাপাড়া পৌর শহরে নতুন করে তিনজনের করোনা সনাক্ত হয়। এদের মধ্যে বই বিক্রেতা পারভেজ গত শনিবার বরিশাল শেবাচিমের করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যায়। ওইদিনই তার নমুনা সংগ্রহ করা হলেও পরিবারের পক্ষ থেকে বিষয়টি গোপন করায় তার জানাযায় শতাধিক মানুষ উপস্থিত হয। সোমবার রাতে তার মৃত্যুর কারন করোনা পজিটিভ উল্লেখ করার পর থেকে নাইয়াপট্রি এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে। ওই রাতেই কলাপাড়া উপজেলা প্রশাসন নাইয়াপট্রি এলাকা লকডাউন করে দিলেও তদারকি না থাকায় এলাকার বাসিন্দারা অনেকটাই ওপেন চলাফেরা করায় মানুষের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে।

কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ চিন্ময় হাওলাদার জানান,ঢাকার বই ব্যবসায়ী পারভেজ এক সপ্তাহের বেশি সময় বুকে ব্যথা, জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালের ডাক্তারদের পরামর্শ না নিয়ে নাইয়াপট্রির বাসায় ছিলেন। গত শনিবার সে অসুস্থ্য হয়ে পড়লে রাতে বরিশাল শেবাচিম এর করোনা ইউনিটির আইসোলেশনে ভর্তি হয় এবং তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ওই রাতেই সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পারভেজ মারা যায়।

তিনি জানান, কলাপাড়ায় মোট ২৪০ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। রিপোর্ট এসেছে ১৭৮ জনের। এরমধ্যে নয় জনের করোনা সনাক্ত হয়েছে। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে একজন।

(এমকে/এসপি/জুন ০৯, ২০২০)