সুবিধা বঞ্চিত মানুষ বলে কিছু নেই। দুনিয়ায় আমরা সবাই অসহায়। মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য কথাটা বর্তমানে অপ্রিয় সত্য কথা। কালের বিবর্তনে আজ স্পষ্ট কথা বলা মানেই পচে যাওয়া মানুষের পরিচয়। হয়তো প্রকৃতির উষ্ণতায় শরীরে সঞ্চালিত হওয়া রক্ত সবারই ভয়াবহ রকমের উষ্ণ। গচ্ছিত রাখা কঠিন হয়ে গেছে সুস্থ চিন্তা। সুস্থ চিন্তার মানুষ আজ অতি সামান্য। তবে জীবনে মানুষ কিছুই করতে সক্ষম নয় যদি না সেটার অনুমতি সৃষ্টিকর্তা দেন।

ফ্রুট কেকে ফ্রুট না থাকার মতই ভালোবাসায় ভালো নেই, জীবনযুদ্ধে জীবন নেই, ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে সুন্দর নেই এবং এরকম অনেক কিছুতেই কিছু নেই। জানিনা তাউ হয়তো এখন সম্মান দেয়ার জায়গাটাতেও বেশিরভাগ মানুষই আমরা স্ব-মান নিয়েই ভাব ধরে আছি।

আর সেজন্য মনে হয় অন্যের অনিষ্ট বা ক্ষতি করা যায় খুব সহজ। যা আসলেই এক অদ্ভুত বিষয় চাইলেই যে কারো নামে বানিয়ে মিথ্যে বলে হোক বা চাকরির ক্ষেত্রে বসের কাছে অথবা বিয়ের ক্ষেত্রে পাত্র/পাত্রী পক্ষের কাছে মিথ্যে তথ্য দিয়ে বা নিজের উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার লক্ষ্যে একজন্য অন্যজন সম্পর্কে বানিয়ে বলে ক্ষনিকের জন্য হলেও ক্ষতি করা যায়।

আবেগ যেমন বন্ধু তেমন কিছু সময় শত্রুর মত আচরণও করে। যার বশবর্তী হয়ে মানুষ অনেক কিছুই করে ফেলে। কিন্তু বিবেক সহজে ধোকা দেয় না। এজন্য কিছু ভাবতে হলে বিবেকই শ্রেষ্ঠ।

বর্তমান সময়ে বন্ধুত্ব শব্দের ব্যবহার খুব বেশী। কিন্তু গভীরতা খুব কম। বলা হয় স্কুলের বা ছোট বেলার বন্ধুরাই আসল। কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধুত্ব তেমন টেকে না। আমার মনেহয় জীবনে বন্ধু দরকার বরং দরকার নেই সাময়িক এসে হারিয়ে যাওয়া অনেক পরিচিত মুখ যাদের আসার না কোন স্মৃতি থাকে, না থাকে চলে যাওয়ার বেদনা।

বিষন্নতাবড়ই বিষাদময় বিষয়। যদি কারো বিষন্নতা ভর করে আর তা যদি অল্পেই কেটে না যায় তাহলে ধরে নেয়া যেতেই পারে যে, তার অন্তর কোন একটি ব্যাপারে হয়তো অতি তাপে পুড়ে কয়লা অথবা ডিপ ফ্রিজে জমিয়ে রাখা পানির মত তরল থেকে কঠিন হয়ে যায়। এতে কিন্তু সে নিঃশেষ হয়ে যায় নি। সে ফেলনাও হয়ে যায় নি। বরং এই পদার্থগুলোর মতই হয়তো মূল্যবান হয়ে গেছে।

লেখাটা এভাবে অসমাপ্তই, যদি কেউ পড়ে তার মনে হতে পারে এ কেমন লেখা যার না আছে কোন উদ্দেশ্যে না আছে কোন নিদৃষ্টতা। অনেক কথা মনে পড়ছে, মনে হচ্ছে অনেক কিছু বলি কিন্তু শোনার তো কেউ নেই। তাই মনের ভাষায় মনের সাথেই কথা গুলো বলে চলেছি।

তাই থাক না লেখাটা জীবনের মত অসমাপ্ত হয়েই।

লেখক: তৈয়ব আলী