জামালপুর প্রতিনিধি : গলাটিপে কন্যাশিশুকে হত্যার পর ডোবার পানিতে ফেলে দেওয়ায় সৎমাকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ। 

শুক্রবার (১২ জুন) রাতে জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের মাজালিয়া গ্রামের নিজবাড়ি থেকে কন্যাশিশু হত্যায় অভিযুক্ত সৎমাকে আটক করার পর শনিবার (১৩ জুন) দুপুরে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে থানা সূত্র।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বুধবার (১০ জুন) রাত ৮টার দিকে মাজালিয়া (ভূঁইয়াপাড়া) গ্রামের আবুল কালামের ৪ বছর বয়সী কন্যাশিশু কনা আক্তারকে ঘরের পাশে একটি ডোবায় পড়ে থাকতে দেখে বাড়ির লোকজন। শিশুকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে তার সৎমা রিনা আক্তার (২৬) শিশুটি পানিতে পড়ে নিহত হয়েছে বলে এলাকায় প্রচার করে।

এ নিয়ে ওই সৎমাকে ঘিরে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। পরে শিশুটির বাবার মৌখিক অভিযোগে শুক্রবার রাতে সৎমাকে আটক করে পুলিশ। পরে পুলিশী জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে হত্যার চাঞ্চল্যকর তথ্য।

এ ব্যাপারে সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু মো. ফজলুল করীম জানান, শিশু কনা আক্তার পানিতে পড়ে মারা যায়নি, তাকে হত্যা করেছে ওর সৎমা রিনা আক্তার। জিজ্ঞাসাবাদে আটক রিনা আক্তার এ কথা স্বীকার করেছে। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় শিশুটিকে টিউবওয়েলপাড়ে ডেকে নিয়ে গলাটিপে হত্যা করে মৃতদেহ পাশের ডোবার পানিতে ফেলে দেয় শিশুটির সৎমা।

এ ঘটনায় শিশুটির বাবা আবুল কালাম বাদর হয়ে তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে সরিষাবাড়ী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। আটককৃতকে শনিবার দুপুরে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে বলে ওসি জানান।

নিহত শিশুর বাবা আবুল কালাম জানান, দু বছর আগে শারীরিক অসুস্থতায় মারা যান তার প্রথম স্ত্রী সালমা বেগম। তারপর তিনি মাজালিয়া গ্রামের ঈমান আলীর মেয়ে রিনা আক্তারকে বিয়ে করেন। তার গর্ভে কোনো সন্তান না হওয়ায় সে প্রথম স্ত্রীর সন্তানকে সহ্য করতে পারতো না। এ আক্রোশে সে তার মেয়েকে গলাটিপে হত্যা করে লাশ পানিতে ফেলে দেয়।

(আরআর/এসপি/জুন ১৩, ২০২০)