মো. আব্দুল কাইয়ুম, মৌলভীবাজার : ওরা মুক্ত আকাশে স্বাধীন ভাবে দুরন্তপনায় মেতে উঠতে পারেনি দীর্ঘদিন। অবশেষে দীর্ঘ খাচাবন্দী জীবনের ইতি টেনে ওরা ডানা মেললো মুক্ত আকাশে। ৩টা দেশীয় টিয়া, ২টা পাহাড়ি ময়না, ৪টা ভাত শালিক এবং ৪টা ঘুঘু পাখি মিলে মোট ১৩টি পাখি শ্রীমঙ্গল শহরের একটি বাসায় আটক ছিল।

রবিবার (১৪ জুন) বিকেলের দিকে শ্রীমঙ্গলের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের জানকিছড়া বিটে খাচাবন্দী পাখিগুলো উদ্ধার করে বন বিভাগের মাধ্যমে অবমুক্ত করা হয়।

পাখিগুলো অবমুক্তকালে এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার বন্যপ্রাণী রেঞ্জের রেঞ্জকর্মকর্তা মোনায়েম হোসেন, লাউয়াছড়ার বিট কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন, জুনিয়র ওয়াইল্ডলাইফ স্কাউট বুলবুল মোল্লাসহ বনবিভাগের কর্মকর্তারা।

রেঞ্জকর্মকর্তা মোনায়েম হোসেন বলেন, আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শ্রীমঙ্গল রেলস্টেশনের স্টাফ কোয়ার্টার ও পাশের একটি কলোনিতে অভিযান চালিয়ে ১৩টি দেশীয় প্রজাতির পাখি জব্দ করি। তিনি বলেন, পাখিগুলোর প্রকৃত মালিক শনাক্ত করতে না পারায় এবিষয়ে আইনগত কোন ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছেনা।

সূত্র জানায়, শুক্রবার মৌলভীবাজার বন্যপ্রাণী রেঞ্জের সদস্যরা শ্রীমঙ্গল স্টেশনস্টাফ পয়েন্টম্যান আব্দুল খালেকের কোয়ার্টার থেকে একটি ময়না পাখি ও পাখি রাখার বেশকিছু খাঁচা জব্দ করতে চাইলে আব্দুল খালেক দাবী করেন, এই ময়না পাখির মালিক শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে পুলিশ (জিআরপি থানা) এর ওসি আলমগীর হোসেনের।

পরে সেই ময়না পাখিটি জব্দসহ স্টেশনমাস্টার জাহাঙ্গীর আলমের কোয়ার্টার থেকে উনার হেফাজতে পালন করা অবস্থায় আটটি দেশীয়পাখি আটক করা হয়।

এদিকে শ্রীমঙ্গল রেলওয়ের স্টেশন মাস্টার জাহাঙ্গীর আলমের কোয়ার্টার থেকে পাখি গুলো জব্দ করা হলেও রেঞ্জকর্মকর্তা মোনায়েম হোসেন দাবি করেন ঐ কোয়ার্টার থেকে পাখি গুলো জব্দ করা হলেও পাখি গুলোর প্রকৃত মালিক কে তা কেউই স্বীকার করছেন না ।

অপর দিকে স্টেশন মাস্টার জাহাঙ্গীর আলমের কোয়ার্টার থেকে পাখিগুলো জব্দ করা হলেও আইনগত কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় বিষয়টি নিয়ে রহস্য সৃষ্টি হয়েছে।

(একে/এসপি/জুন ১৫, ২০২০)