সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : মুরগির খাদ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ও মুরগীর দাম পাইকারী বাজারে কম হওয়ায় সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার খামার মালিকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। এদিকে খুচরা বাজারে মুরগীর দাম চড়া হওয়ায় ক্রেতাদের মাঝে অসস্তুষ্টি। 

জানা যায়, ছোট বড় ৫০০ বেশি মুরগির খামার রয়েছে এ উপজেলায়। তবে সরকারি হিসাব মতে বর্তমানে তাড়াশে প্রায় ৫০০ খামার রয়েছে। এর মধ্য লেয়ার ৩৩১, ক্রক ১০০,বয়লার ৬০ টি খামার রয়েছে। এ দিকে মুরগির খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় লাভের পরিবর্তে লোকসান গুনতে হচ্ছে মালিকদের। অথচ খুচরা বাজারে মুরগী দাম এখন অনেক চড়া। এমন বৈষম্যের কারনে ক্রেতা ও খামারীরা অসন্তষ্ট। এ জন্যে ইতিমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে অধিকাংশ খামার।

বর্তমান বাজারে পোল্ট্রী মুরগীর পাইকারী দর ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি, লাল ক্রক মুরগী ১৯০ থেকে ২১০টাকা কেজি বিক্রী হচ্ছে। অথচ খুচরা ব্যবসায়ীরা বাজারে ক্রেতাদের কাছে পোল্ট্রী মুরগীর ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকা কেজি, লাল ক্রক মুরগী ২৫০থেকে ২৬০টাকা কেজি দরে বিক্রী করছেন।

খামার মালিকদের অভিযোগ বাচ্চা লালন পালন করতে যে টাকা খরচ হয় বিক্রি করে সে টাকা উঠছে না। পোল্ট্রি খামারের এ ধরনের ধস নামার জন্য দায়ী করলেন মুরগির খাদ্যের দাম বৃদ্ধিকে। আর করোনা ভাইরাসে প্রাদুর্ভাবে খুচরা বাজারে ব্যবসায়ীরা কম দামে মুরগী কিনে বাজারে ক্রেতাদেরকাছে চড়া দামে বিক্রী করছেন।

তাড়াশ বাজারের মুরগীর ক্রেতা বিধান স্যানাল বলেন, সাদা পোল্ট্রী মুরগী খামারীদের কাছে থেকে খুচরা ব্যবসায়ীরা ৯০টাকা কেজি ধরে কিনে বাজারে ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রী করছেন।

তাড়াশ উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের চৌপাকিয়া গ্রামে খামার মালিক আলাউদ্দিন আহমেদ বলেন, মুরগির খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় ফিড ব্যবসায়ীরাও পড়েছে নানা সমস্যায়। এতে পুঁজি লাগছে দিগুণ আবার খাদ্য কিনতে এসে বেশি দাম দেখে আমাদের মত খামার মালিকরাও পড়েছি বিড়ম্বনায়।

তাড়াশ উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. এজে এম সালাহ উদ্দিন বলেন, করোনাকালীন সময়ে একটু খুচরা বাজারে দাম বেড়েছে কিন্ত আকাশপাতাল বাড়েনি। খামারীরা বেকায়দা এটাও ঠিক। তবে এই সময়ে ক্রেতারা মুরগী পাচ্ছে এটাই অনেক বড় ব্যাপার।

(এমএস/এসপি/জুন ১৬, ২০২০)