নড়াইল প্রতিনিধি : নড়াইলের লোহাগড়ায় এক ইউপি চেয়ারম্যানের দুর্নীতি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করার জের ধরে হত্যা মামলার আসামি করা হয়েছে সাংবাদিক শাহজাহান সাজুকে। মামলা থেকে নাম প্রত্যাহারের দাবিতে বুধবার মানববন্ধন করেছেন নড়াইল ও লোহাগড়ায় কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ।

মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও লোহাগড়া থানার ওসির মাধ্যমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। শাহজাহান সাজু দৈনিক মানবজমিন ও দৈনিক গ্রামের কাগজ পত্রিকার লোহাগড়া প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।

উপজেলা পরিষদের সামনে লোহাগড়া-নড়াইল সড়কে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। লোহাগড়া উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকরা এ কর্মসূচির আয়োজন করেন। এতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী ও নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেয়। সাংবাদিক রূপক মুখার্জির সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন লোহাগড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি এ্যাডভোকেট আব্দুস ছালাম খান, সম্পাদক বদরুল আলম টিটো, চ্যানেল টুয়েন্টি ফোর নড়াইল জেলা প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম তুহিন, দৈনিক মানবজমিনের জেলা প্রতিনিধি হুমায়ন কবীর রিন্টু, আরটিভির জেলা প্রতিনিধি মোস্তফা কামাল, দৈনিক জনতার জেলা সাথী তালুকদার, প্রথম আলোর সাংবাদিক মারুফ সামদানী, সমকাল প্রতিনিধি রেজাউল করিম,যুগান্তর প্রতিনিধি বিপ্লব রহমান, ভোরের কাগজের আবু আব্দুল্লাহ,কাজী আশরাফ, ওযায়দুর রহমান, তানভীর আহম্মেদ রুবেল,লোহাগড়া পৌরসভার কাউন্সিলর গিয়াস উদ্দিন ভুঁইয়া প্রমুখ।

সাজুকে হত্যা মামলার আসামি করায় সাংবাদিকরা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমানের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে দৈনিক মানবজমিন ও দৈনিক গ্রামের কাগজ পত্রিকায় সংবাদ ছাপা হওয়ার ওই ইউপি চেয়ারম্যান শুরু থেকেই তার ওপর ক্ষিপ্ত ছিলো। এ কারণে তাকে হয়রানি করতে চেয়ারম্যান সমর্থিত নিহত শেখ রফিকুলের পিতাকে ম্যানেজ করে সাজুর নামে ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গত ১০ জুন উপজেলার কাশিপুর ইউপির গন্ডব গ্রামে দুপক্ষের সংঘর্ষে চালিঘাট গ্রামের শেখ রফিকুল ইসলাম (৩৫) খুন হয়। এ ঘটনায় রফিকুলের পিতা শেখ সাইফুর রহমান লোহাগড়া থানায় ৭৯ জনকে আসামি করে মামলা করেন। এ মামলায় শাহজাহান সাজুকে ৬২ নাম্বার আসামি করা হয়।

স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে, সাজু পৌর শহরের বাসিন্দা,তার বাড়ী থেকে ঘটনাস্থল প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে। সেখানে তার পৈত্রিক বাড়িও নয়। ওই গ্রামে তার কোনো আত্মীয়-স্বজনও নেই। ঘটনার দিন সাজু নিজের বাড়িতে ভবন নির্মাণ কাজে ব্যস্ত ছিলেন।

লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ আশিকুর রহমান বলেন, নির্দোষ ব্যক্তি হয়রানির শিকার না হন সেদিকে আমরা বিশেষ নজর রাখব।

(আরএম/এসপি/জুন ১৭, ২০২০)