গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি : গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে মোবাইলে নগ্ন ছবি ধারণ করে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করায় ওই ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় ধর্ষক আকুল ফকিরসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের হয়েছে । 

জানা গেছে, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার শালমারা ইউনিয়নের শালমারা (পাছপাড়া) গ্রামের লাল মিয়ার কন্যা শালমারা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে প্রতিদিন স্কুলে যাওয়া-আসার পথে একই গ্রামের সিরাজুল ইসলাম ফকিরের ছেলে আকুল ফকির(২৫) উত্ত্যক্ত করাসহ বিভিন্ন সময় তাকে কুপ্রস্তাব দিত। মেয়েটি লম্পট আকুলের কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় প্রায় ৪ মাস আগে স্কুলে যাওয়ার পথে আকুল ফকিরের মাছের হ্যাচারীর নিকট পৌছিলে একই গ্রামের আশরাফ আলীর ছেলে রুবেল মিয়া(২৪) ও নাবুল মিয়ার ছেলে নাদেন (১৮) এর সহযোগিতায় আকুল ফকির মেয়েটিকে রাস্তা থেকে জোরপূর্ব্বক তার হ্যাচারীর ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে ওই ছাত্রীকে লগ্ন করে লম্পট আকুল মোবাইলে তার নগ্ন ছবির ভিডিও ধারন করে জোরপূর্বক ধর্ষণ করার চেষ্টা করে।

এরপর থেকে আকুল মিয়া যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার জন্য মেয়েটিকে চাপ দিতে থাকে। এতে সে রাজি না হওয়ায় তার এসব লগ্ন ভিডিও ইন্টারনেট ও ফেইসবুকে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। গত ১ লা মার্চ সকাল ৯ টার দিকে স্কুলে যাওয়ার পথে ধারণকৃত ভিডিও ডিলেট করার কথা বলে ওই ছাত্রীকে হ্যাচারীর ঘরের মধ্যে ডেকে নিয়ে আকুল ফকির তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এর পরে ওই ভিডিওকে জিম্মি করে লম্পট আকুল ফকির বেশ কয়েকবার ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করলে সে অন্তঃসত্তা হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে মেয়েটি পরিবারের লোকজনের কাছে সব ঘটনা খুলে বলে।
ওই ছাত্রীর অন্তঃসত্তা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন মহিমাগঞ্জ ইউনিয়ন স্বাস্থ্যসহকারী কোহিনুর বেগম।

গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি(তদন্ত) আফজাল হোসেন বলেন, এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর ফুফাতো ভাই ছয়ফুল ইসলাম বাদি হয়ে ৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞতনামা আরও ১/২ বিরুদ্ধে গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলাটি গাইবান্ধা পিবিআই তদন্ত করবে বলে তিনি জানান।

(এস/এসপি/জুন ১৮, ২০২০)