স্টাফ রির্পোটার, ঢাকা : প্রশিকার প্রধান নির্বাহী কাজী খাজে আলমসহ তিনজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।  কর্মচারীর টাকা আত্মসাৎ ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগে এ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। অন্য দুজন হলেন, পরিচালক ও সিএফও আলতাফ হোসেন তালুকদার, কর্মী কল্যাণ তহবিলের উপপরিচালক আলমগীর হোসেন।

মঙ্গলবার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসিবুল হক এ আদেশ দেন। আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. ওবায়দুল হক।

গত বছরের ১১ সেপ্টম্বর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসিবুল হকের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন প্রশিকারই সাবেক কম্পিউটার অপারেটর কামরুল ইসলাম। মামলাটি আমলে নিয়ে বিচারক তদন্তপূর্বক রূপনগর থানার ওসিকে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দেন।

মামলায় বাদী অভিযোগ করেন, ২০০৮ সালের ২০ অক্টোবর এক সড়ক দুর্ঘটনায় বাদীর বাম পা ভেঙে যায় এবং মুখমণ্ডলসহ সারা শরীরে মারাত্মক জখম হওয়ায় কর্মক্ষমতা হারিয়ে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।

দীর্ঘদিন চাকরি করার ফলে প্রভিডেন্ট ফান্ড, কর্মচারীকল্যাণ তহবিল ও গ্রাচুইটি ফান্ডসহ মোট এক লাখ ৩৫ হাজার তিনশ ৮৬ টাকা পাওনা হয়। প্রশিকা তাকে পঞ্চাশ হাজার টাকা পরিশোধ করলেও পঁচানব্বই হাজার তিনশ ৮৬ টাকা পরিশোধ না করে একের পর এক তারিখ দিয়ে ঘুরাতে থাকে।

২০১৩ সালের ১৩ জানুয়ারি পাওনা টাকা পরিশোধের জন্য তিনি উকিল নোটিস পাঠান। কিন্তু প্রশিকা কর্তৃপক্ষ তার কোনো জবাব দেয়নি। দীর্ঘদিন উকিল নোটিসের জবাবের অপেক্ষা করে গত বছরের ২৯ জুলাই বাদী আসামিদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করলে আর কোনো টাকা দেবেন না এবং টাকা চাইতে গেলে মেরে ফেলার হুমকি দেন।

(ওএস/এএস/মার্চ ১১, ২০১৪)