চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি : পাবনার চাটমোহরের ভাদুনগরস্থ বন্ধন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিকস সেন্টারে ভুল চিকিৎসায় এক নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। মৃত নবজাতকের মায়ের অবস্থাও আশংকাজনক।

ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার (২০ জুন) রাতে। এ ঘটনার পর মৃত নবজাতকের পিতা উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের বৃ-গুয়াখড়া গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে মো. মাসুম ক্লিনিকের মালিক ডা. এম এ মজিদকে দায়ী করে সাংবাদিকদের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগে মো. মাসুম জানান, তার স্ত্রী নাজমা খাতুন (২২) কে প্রসবজনিত কারণে ২০ জুন বন্ধন ক্লিনিকে নিয়ে আসা হয়। এসময় ক্লিনিকের মালিক ডা. এম এ মজিদ তাকে জানান, এখনই সিজার করতে হবে। মাসুম তাকে জানায় এখনও তো সময় হয়নি। ডা. মজিদ বলেন, সময় হয়েছে, এখন সিজার না করলে সমস্যা হবে। তার কথামতো সিজার করানো হয়। বাইরে থেকে সার্জন এনে সিজার করানোর পর বাচ্চার অবস্থা খারাপ হয়। শিশুটির চোখই ফুটেছিল না। এক পর্যায়ে বাচ্চার অবস্থা খারাপ হলে পাবনা পাঠানো হয়।

বিকেল ৫ টার পর পাবনা নিয়ে যাওয়া হলে রাত ৮টার দিকে বাচ্চাটি মারা যায়। এদিকে প্রসূতি নাজমা খাতুনের অবস্থা অবনতি হলে তাকে স্যালইনের পাশাপাশি রক্ত দেওয়া হচ্ছে।

মাসুম অভিযোগ করেন ডা. এম এ মজিদের ভুল চিকিৎসা ও তাড়াহুড়ার কারণেই তার সদ্যজাত পুত্র সন্তানটি মারা গেছে। তিনি এ ঘটনার বিচার চান।

এ ব্যাপারে বন্ধন ক্লিনিকের মালিক ডা. এম এ মজিদের সাথে যোগাযোগ করা হলে, তিনি উত্তেজিত ও রাগান্বিত হয়ে বলেন, আমার কোন দোষ নেই। আমার বিরুদ্ধে লিখে আমার কেউ কিছু করতে পারবে না। আমি কোন ভুল চিকিৎসা দেই নাই। শিশুটি অপুষ্ঠিতে ভুগছিলো। তাই মারা গেছে। এ রকম মারা যেতেই পারে।

উল্লেখ্য, ডা.এম এ মজিদ চাটমোহরে ক্লিনিক ব্যবসা শুরুর পর থেকে বেশ কয়েকটি মৃত্যুও ঘটনা ঘটিয়েছে। বারবার টাকা-পয়সা দিয়ে মিমাংসাও করে নিয়েছেন।

(এস/এসপি/জুন ২২, ২০২০)